বর্তমান সময়ে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি দৃষ্টিগোচর হয় তা হলো, সামনে অনেক খাবার পরে আছে কিন্তু বাচ্চা খেতে চায় না। অনেক মায়েরা শুধু বাচ্চাকে প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ানোর জন্য দিনে কয়েক ঘন্টা সময় নেয় কিন্তু তবুও বাচ্চাদের পর্যাপ্ত খাওয়ানো যায়না। এর ফল স্বরুপ বেশির ভাগ বাচ্চাই নানাবিধ অপুষ্টিজনিত রোখে ভোগে। বাচ্চা খেতে চায় না, একথাটা যেমন সত্য তেমনি বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য কিছু ভাল টিপস রয়েছে যার প্রয়োগে আপনার বাচ্চাও খাবার খেতে চাইবে এটাও প্রমানিত।
বাচ্চাদের খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে কিছু কার্যকরী টিপস প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই উপায়গুলির সাথে আপনার বাচ্চাকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারলে আশা করা যায় আপনার বাচ্চাও পর্যাপ্ত খাবার খাবে এবং স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠবে।
আজকে আমরা এমনি কিছু গুরুত্বপুর্ন টিপস বা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলবো। আপনার ফোন বা ডিভাইসটি স্ক্রল করা বন্ধ করে মনযোগ দিয়ে সম্পুর্ন আর্টিকেলটি পড়ুন। এখানে ৫টি টিপস দেয়া হলো, যা মেডিকেল সাইন্সের দৃষ্টিকোণ থেকে উপকারী হতে পারে।
যে 5 টিপস প্রয়োগে না খেতে চাওয়ার অভ্যাস থেকে ফিরে আসবে আপনার সন্তানঃ
১. খাবারকে আকর্ষণীয়ভাবে সাজান
বাচ্চাদের খাবার আকর্ষণীয়ভাবে পরিবেশন করলে তাদের খাওয়ার আগ্রহ বেড়ে যায়। বিভিন্ন আকৃতির কাটা ফল ও সবজি, বা খাবারকে বিভিন্ন রঙে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। সৃজনশীল উপস্থাপন খাবারকে আনন্দদায়ক করে তোলে।
খাবারকে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানোর জন্য কিছু সহজ টিপসঃ
- রঙিন উপকরণ: বিভিন্ন রঙের ফল ও সবজি ব্যবহার করুন।
- আকৃতির পরিবর্তন: খাবারকে প্রাণী বা গাছের আকৃতিতে কাটুন।
- থিমযুক্ত পরিবেশন: নির্দিষ্ট থিম অনুযায়ী খাবার সাজান।
- মজার নামকরণ: খাবারের জন্য আকর্ষণীয় নাম দিন।
- প্লেটের সাজসজ্জা: খাবারগুলোকে আলাদা জায়গায় সুন্দরভাবে রাখুন।
- স্বাস্থ্যকর ডিপ: সঙ্গে মজাদার ডিপ পরিবেশন করুন।
- গন্ধ ও স্বাদের বৈচিত্র্য: মসলা ও টপিং ব্যবহার করে স্বাদ বাড়ান।
- খেলার মতো পরিবেশন: ছোট প্লেটে বিভিন্ন উপকরণ সাজিয়ে দিন যেন বাচ্চারা বেছে নিতে পারে।
২. বাচ্চাদেরকে রান্নার কাজে সাহায্য করতে বলুন।
বাচ্চাদের রান্নার কাজের সহিত যুক্ত করলে তারা খাবারের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে।
বাচ্চাদের রান্নার কাজে সংশ্লিষ্ট করার জন্য কিছু সহজ পদ্ধতিঃ
- নিরাপদ কাজ দিয়ে শুরু: ছোট ছোট কাজ দিন, যেমন সবজি ধোয়া বা মশলা মেশানো।
- রেসিপি অনুসরণ: সহজ ও মজাদার রেসিপি বেছে নিন এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে রান্না করুন।
- প্লেট সাজানো: খাবার সাজানোর দায়িত্ব দিন, যাতে তারা সৃজনশীল হতে পারে।
- স্বাস্থ্য শেখানো: স্বাস্থ্যকর উপকরণের গুরুত্ব বোঝান।
- স্বতঃস্ফূর্ততা: তাদের মতামত নিন, যেমন কোন খাবার বানানো হবে।
৩. খাবারের ক্ষেত্রে মেনে চলুন রুটিন ও সময়
বাচ্চাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট খাবারের সময়সূচী তৈরি করুন। নিয়মিত সময়ে খাবার দিলে তাদের শরীর খিদে অনুভব করে এবং খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। এছাড়া, খাবারের সময় ফোন বা টেলিভিশন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে তারা খাবারের প্রতি মনোযোগী হতে পারে।
বাচ্চাকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়গুলিতে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য কিছু সহজ পদক্ষেপঃ
- নিয়মিত সময়সূচী: প্রতিদিন একই সময়ে খাবার পরিবেশন করুন।
- পূর্ববর্তী প্রস্তুতি: খাবারের সময়ের আগে কিছু সময় আগে তাদের খিদে অনুভব করতে সাহায্য করুন।
- পরিবারের সঙ্গে একসাথে খাওয়া: একসঙ্গে খেলে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে উৎসাহিত হবে।
- পজিটিভ রিইনফোর্সমেন্ট: ভালোভাবে খেলে প্রশংসা করুন, যাতে তারা খাওয়ার সময় ভালো মনে করে।
৪. বাচ্চার জন্য বাছাই করুন স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবারঃ
বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার নির্বাচন করুন। উচ্চ সুগার বা প্রক্রিয়াজাত খাবার কমিয়ে তাদের স্বাস্থ্যকর বিকল্প দিন। এই ধরনের খাবার তাদের শরীরের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
বাচ্চার জন্য স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার বাছাই করতে কিছু সহজ পদ্ধতিঃ
- বিভিন্ন রঙের ফল ও সবজি: প্রতিদিন বিভিন্ন রঙের ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন।
- পূর্ণ শস্য: ব্রাউন রাইস, ওটস, ও পুরো গেনের ব্রেড বেছে নিন।
- প্রোটিন উৎস: দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, এবং legumes (মসুর, চানা) অন্তর্ভুক্ত করুন।
- সুগার ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমানো: প্রক্রিয়াজাত ও উচ্চ সুগার খাবার এড়িয়ে চলুন।
- স্বাস্থ্যকর চর্বি: অ্যাভোকাডো, বাদাম ও জলপাই তেল ব্যবহার করুন।
৫. খাবারের জন্য উত্তম পরিবেশ তৈরি করুন
খাওয়ার সময় ইতিবাচক পরিবেশ বজায় রাখুন। পরিবার সদস্যদের সাথে খেতে বসা, হাস্যরস এবং আলোচনা করে খাওয়ার অভিজ্ঞতাকে সুখকর করুন।
বাচ্চাদের খাবারের জন্য উত্তম পরিবেশ তৈরি করতে কিছু সহজ পদ্ধতিঃ
- সামাজিক পরিবেশ: পরিবারসহ একসঙ্গে খাবার খান, যাতে বাচ্চারা সামাজিকভাবে যুক্ত হতে পারে।
- শান্ত ও পরিচ্ছন্ন স্থান: খাওয়ার জায়গাটি পরিষ্কার এবং শান্ত রাখুন, যাতে তারা আরামদায়ক অনুভব করে।
- পজিটিভ কথাবার্তা: খাবারের সময় ইতিবাচক আলোচনা ও হাস্যরস রাখুন, যাতে খাওয়ার অভিজ্ঞতা আনন্দময় হয়।
উপসংহার
এই টিপসগুলো প্রয়োগ করলে বাচ্চাদের খাবার খাওয়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। মনে রাখবেন, ধৈর্য্য রাখা এবং একসাথে সময় কাটানো গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিবেশ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে পারলে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ও উন্নতি হবে। সকল মা এবং তার ছোট্ট সোনামনিদের জন্য শুভকামনা।
সফলতার গল্প
আপনি কি ঢাকার সেরা বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইভিএফ ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টিরও বেশি সফল আইভিএফ সাফল্য রয়েছে।
গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:
- YouTube: Infertility Solution by Dr. Rafiqul
- Facebook: Infertility Solution BD
সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps