ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

How to make your child interested in food?

আপনার সন্তানকে কিভাবে খাবারের প্রতি আগ্রহী করে তুলবেন?

বর্তমান সময়ে প্রতিটি মায়ের সবচেয়ে কমন যে সমস্যাটি ফেস করতে হয় তা হলো, সন্তান কিছুতেই খেতে চায়না। সেই সন্তান ছোট্ট শিশু হোক বা একটুু বড় হোক না কেন সমস্যা একই। সন্তান খেতে চায়না। সন্তান খাবারের প্রতি আগ্রহী না। অনেক বাবা মা ই এমন সমস্যা হলে সন্তানকে পুষ্টিবিদ বা শিশু বিশেষজ্ঞ এর নিকটে নিয়ে যান। ডাক্তারগণ হয়তো কিছু ওষুধ আর কিছু পরামর্শ দেন কিন্তু দিন শেষে একই অবস্থা বিদ্যমান থাকে। ছোট বাচ্চা খাবারের প্রতি আগ্রহী নয়। 

আজকে আমরা এই সমস্যাটি নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করার চেষ্টা করবো এবং এমন কিছু গুরুত্বপুর্ন টিপস বলবো যা ফলো করলে ধীরে ধীরে আপনার সন্তান খাবারের প্রতি আগ্রহী হবে বলে আশা করতেই পারেণ।

সন্তানকে খাবারের প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্য আপনি কয়েকটি কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেন। সঠিক ভাবে পদক্ষেপ গুলি কাজে লাগাতে পারলে আশা করছি আপনার সন্তানকে খাবারের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে সমর্থ হবেন।

সন্তানকে খাবারের প্রতি আগ্রহী করে তুলার কিছু প্রয়োজনীয় টিপসঃ

১. খাবারের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা

আপনার সন্তানের জন্য খাবারকে রঙিন ও সুন্দরভাবে সাজান। বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি ব্যবহার করে প্লেট সাজাতে পারেন। খাবারকে আকর্ষণীয় আকারে সন্তানের সম্মুখে চেষ্টা করুন ফুটিয়ে তুলতে। যেমন, সবজির সাথে মুখোশের মতো কিছু তৈরি করা। যেসবে সাধারনত বাচ্চারা আগ্রহ বোধ করবে।

২. সন্তানের সাথে সহযোগিতা করা

সন্তানের বয়স অনুযায়ী রন্ধন প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ করান। তাদের কিছু সহজ কাজ করতে দিন, যেমন সবজি ধোয়া বা স্যালাড তৈরিতে সাহায্য করা। চেষ্টা করুন সন্তানকে সপ্তাহের মেনু পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে। তাদের পছন্দের খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে দিন তাদের পছন্দ মতো।

৩. স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে পরিচিতি

খাবারের পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করুন। যেমন, কেন সবজি খাওয়া উচিত এবং তার উপকারিতা কী। বিভিন্ন দেশের খাবার বা সংস্কৃতির খাবার সম্পর্কে জানাতে পারেন। এতে তাদের নতুন খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। ছোট বাচ্চাকে বোঝাতে হবে কোন খাবার স্বাস্থের জন্য কতটা দরকারি। চেষ্টা করে যেতে হবে। ফল আস্তে আস্তে আসবেই।।

৪. নিয়মিত খাবারের অভ্যাস গড়া

পরিবারসহ একসঙ্গে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি সন্তানকে খাবারের প্রতি আকৃষ্ট করবে এবং খাবারের মানসিকতা তৈরি করবে। নিয়মিত নতুন খাবার পরিচিতি করান। তাদের ধীরে ধীরে নতুন স্বাদের সাথে পরিচিত করতে হবে। হয়তো সবসময় ক্ষুধা একরকম থাকবে না। তাই একসাথে খাবারের অভ্যাসের মাধ্যমে বাড়ে বাড়ে খাবারের প্রতি আগ্রী করে তুলুন। দেখবেন ধীরে ধীরে সে তুলনামুলক বেশি খেতে শুরু করবে ইনশাআল্লাহ্।

৫. নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া থেকে বিরত থাকা

যদি আপনার পছন্দের খাবারগুলি তাদের পছন্দ না হয়, তবে নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। বরং ধৈর্য সহকারে তাদের স্বাদ পরিবর্তন করতে দিন। মনে রাখা দরকার, প্রত্যেকের স্বাদবোধ আলাদা হতেই পারে। আপনার কাছে বিস্বাদের খাদ্যই আপনার সন্তানের কাছে সুস্বাদু হতে পারে আবার আপনার কাছে অনেক পছন্দের খাবার আপনার শিশুর কাছে মন মত না হতেই পারে। তাই তাকে ধমক দিবেন না। বুঝতে চেষ্টা করুন। আপনার সন্তানকে খাবারের মান সম্পর্কে বুঝাতে ট্রাই করুন।

৬. উদ্দীপনা ও উৎসাহ প্রদান

সন্তানের নতুন খাবার চেষ্টা করার জন্য ছোটখাটো পুরস্কার দিন। এটি তাদের উৎসাহিত করবে। নতুন খাবার চেখে দেখার জন্য তাদের প্রশংসা করুন এবং তাদের প্রচেষ্টা মূল্যায়ন করুন। মনে রাখবেন, ছোট শিশু বা বড় সকলেই পুরস্কার পেতে ভালবাসে। উদ্দিপনা পেলে একই ভাল কাজ আবার করতে আগ্রহ তৈরি হয়।

৭. সোশ্যাল মিডিয়া এবং খাবারের শিক্ষা

শিশুদের জন্য রান্নার ভিডিও বা বই দেখান, যা তাদের আগ্রহী করবে নতুন খাবার সম্পর্কে। অনেকে আবার এই বাহানায় সন্তানকে কার্টুন দিতে শুরু করে। এটা একদমই ঠিক নয়। আপনার সন্তানকে ইলেকট্রিক ডিভাইস থেকে যত সম্ভব দুরে রাখুন। কারন বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইস মোবাইলফোন ট্যাবলয়েড বা এসব যন্ত্র দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারন হতে পারে।

উপসংহারঃ 

পরিশেষে বলা যায়, খাবারের অভ্যাস হঠাৎ করে তৈরি হবেনা। এটা একটি অনেক দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম। চেষ্টা অবশ্য চলমান রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, হারবাল বা চটকদার কোন বিজ্ঞাপন দেখে সেসব ঔষুধ সেবনে সন্তানের জন্য দীর্ঘতম ক্ষতি করে ফেলতে পারেন আপনার নিজের অজান্তেই। তাই প্রাকৃতিক ভাবে উপরের পন্থা অবলম্বন করুন। চেষ্টা করুন।

সন্তানের খাবারের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে ধৈর্য্য ও সময় প্রয়োজন, তবে সঠিক পন্থা অবলম্বন করলে অবশ্যই সাফল্য পাবেন। ইনশা আল্লাহ্। আপনার সন্তান সহ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনায় ডাঃ রফিকুল ইসলাম ভূইয়া।

সফলতার গল্প

আপনি কি ঢাকার সেরা বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইভিএফ ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টিরও বেশি সফল আইভিএফ সাফল্য রয়েছে।

গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:

সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps