ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

Women's closedness is a curse power common pressure

নারীর বন্ধ্যাত্ব কি অভিশাপ নাকি সাধারণ অসুস্থতা

বর্তমান সমাজে নারী ও পুরুষ উভয়েই বিভিন্ন সমস্যায় সম্মুখীন হয়ে থাকেন। নারীর বন্ধ্যাত্ব কি অভিশাপ এই নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়ে থাকে। আসলে বলা যায়, নারীর বন্ধ্যাত্ব হলো শারীরিক অসুস্থতা বা কোন সময়ে শরীরের কোন সমস্যার জন্য দীর্ঘমেয়াদী বাচ্চা না হওয়া বা অক্ষমতাকে বোঝানো হয়।সাধারণত প্রাথমিক ও দীর্ঘদিন যাবত সন্তান জন্মদানের ঘটনাকে অকার্যকর মনে করা অর্থাৎ ৪০% পুরুষদের জন্য ব্যর্থ হলে এবং ৪০% নারীদের জন্য সমস্যা হলে বাকি ২০% নারী ও পুরুষ উভয়কেই দোষী হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

নারী ও পুরুষ উভয়েই বিভিন্ন উপায়ে বন্ধ্যাত্ব মোকাবেলা করার পাশাপাশি কিভাবে এর পরিত্রাণ সম্ভব ধারণা নিতে পারেন। লোকসমাজে নারীদেরই দোষী হিসাবে গন্য করা হয়।তাদের নারী বন্ধ্যাত্ব কি অভিশাপ এই নিয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে নিজেদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও হেয় প্রতিপন্ন মনে করেন।আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অনুসারে নারী বন্ধ্যাত্ব কোন অভিশাপ নয় বরং শারীরিক অসুস্থতা যা চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করা যায়।

 নারী বন্ধ্যাত্বে শারীরিক অসুস্থতাঃ

১) হরমোনের প্রভাবে নারীরা ডিম্বাণু কমে যাওয়া সহ থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। 

২) দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত কাজের প্রেশার সহ ওজন হতে পারে নারীর বন্ধ্যাত্বের অন্যতম ঝুঁকি। 

৩) পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম থাকা অবস্থায় একজন নারীর বন্ধ্যত্ব হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়।

৪) যৌনবাহিত রোগ সহ এন্ডোমেট্রিওসিস ও সিস্টের কারনে ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

৫) শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও হরমোনের কারসাজি নারীর সহবাসের পর ও বাচ্চা জন্মদানের ঘটনাকে বাঁধা দেয়।

৬) ডায়াবেটিস সহ উচ্চ রক্তচাপ অনেক সমস্যা দায়ী মনে করা হয়।

৭) ফ্যালোপিয়ান টিউবের ক্ষতির জন্য নারীদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। 

৮) বংশগতি রোগ সহ বিভিন্ন সমস্যা থেকে সূত্রপাত হতে পারে। 

নারী বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা বিভিন্ন কারণে নির্ভর করে এবং শারীরিক অসুস্থতার ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রণালী ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, বন্ধ্যাত্বের কিছু কারণ এবং তার চিকিৎসা পদ্ধতি নিম্নরূপঃ

১) হরমোনের অসামঞ্জস্য: হরমোনের চিকিৎসা যেমন এন্ড্রোজেন বা এস্ট্রোজেনের মাত্রা সমান করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে হরমোন থেরাপি প্রয়োজন হতে পারে।

২) অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমানো বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

৩) পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম : এই অবস্থায় ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকরা হরমোনাল চিকিৎসা বা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন করতে পরামর্শ দিতে পারেন।

৪) ডিম্বাণু তৈরি না হওয়া: কিছু ক্ষেত্রে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) বা ওভুলেশন উদ্দীপক চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

৫) যৌন সংক্রমণ বা ফ্যালোপিয়ান টিউবে সমস্যা: এই অবস্থায় সার্জারি বা অন্যান্য চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

৬) এন্ডোমেট্রিওসিস: এন্ডোমেট্রিওসিস থাকলে সার্জারি বা হরমোন থেরাপি প্রয়োজন হতে পারে।

৭) ডিম্বাশয়ের বিকৃতি: এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা দরকার।

প্রথমে একজন গাইনোকোলজিস্ট বা ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। তারা সঠিক পরীক্ষা এবং উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকল্পনা করতে পারবেন।

শারীরিক ও মানসিক অবস্থার চিকিৎসা সাধারণত একাধিক দিক থেকে করা হয়, যা ব্যক্তির সমস্যার ভিত্তিতে নির্ভর করে। এখানে কিছু প্রধান পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:

শারীরিক অবস্থার চিকিৎসা:

১) ডায়াগনোসিস: প্রথমে সঠিক রোগ নির্ণয় করতে হবে। চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের কারণ বুঝতে পারবেন।

২) ঔষধ: উপসর্গের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হয়। যেমন ব্যথানাশক, অ্যান্টিবায়োটিক, বা হরমোনাল চিকিৎসা।

৩) শারীরিক থেরাপি: কিছু শারীরিক সমস্যার জন্য ফিজিওথেরাপি বা অন্যান্য শারীরিক চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

৪) লাইফস্টাইল পরিবর্তন: সঠিক খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।

মানসিক অবস্থার চিকিৎসা:

১) সাইকোথেরাপি: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন উদ্বেগ, অবসাদ বা স্ট্রেসের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে। সাইকোথেরাপি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন সিবিটি (Cognitive Behavioral Therapy)।

২)ঔষধ: মানসিক অবস্থার চিকিৎসার জন্য এন্টিডিপ্রেসেন্ট বা অ্যান্টি-অ্যাংজাইটির ঔষধ ব্যবহার করা হতে পারে।

৩)মেডিটেশন: মানসিক চাপ কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে মাইন্ডফুলনেস ও মেডিটেশন কার্যকর হতে পারে।

পুরুষের বন্ধ্যাত্ব হওয়ার কারণ:

মেডিকেল এর পরিভাষায়, পুরুষের জন্য ও রয়েছে বিশাল দুর্ভোগ।পুরুষরা সাধারণত কোন ঔষধবিদ্যা না থাকায় নিজেরা চিকিৎসার অভাবে সন্তান জন্মদানের মতো সুখ ও তৃপ্তিকর আনন্দ থেকে বঞ্চিত হোন। পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন ও দায়ী বলা হয়।

১) বীর্যের সংখ্যা কমে যাওয়া।

২) শুক্রাণুর চলন ও গতি কমে যাওয়া অন্যতম কারন হিসাবে ব্যাখা দিয়েছে আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যা। তাই আপনার সমস্যা যাচাই-বাছাই করে তারপর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার আশা চিন্তা করতে পারবেন। 

৩) অতিরিক্ত ওজন,ডায়াবেটিস, নেশাদ্রব্য ব্যবহার সহ আরো অনেক জিনিস রয়েছে যার মাধ্যমে পুরুষরা ঝুঁকির মধ্যে আওতাধীন। 

নারী বন্ধ্যাত্ব অভিশাপ নয়

নারী বন্ধ্যাত্ব একটি শারীরিক বা মানসিক সমস্যা, তবে এটি অভিশাপ নয়। এই সমস্যা সমাজের বহু মহিলাকে প্রভাবিত করে এবং এটি তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য, আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক অবস্থানে প্রভাব ফেলতে পারে।

নারী বন্ধ্যাত্ব কি অভিশাপ হিসেবে দেখার পরিবর্তে, আমাদের উচিত সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সামাজিক সমর্থন গড়ার দিকে নজর দেওয়া। বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে এবং অনেক মহিলাই আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে মা হতে সক্ষম হন।এছাড়া, একজন নারী তার ব্যক্তিত্ব, পেশাগত সফলতা ও অন্যান্য জীবনবোধের মাধ্যমে পুরোপুরি পূর্ণতা পেতে পারেন, যেটা বন্ধ্যাত্বের মাধ্যমে ব্যাহত হয় না। তাই, বন্ধ্যাত্বকে অভিশাপ হিসেবে নয়, বরং একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে হবে, যেখানে সঠিক সমর্থন এবং সচেতনতার মাধ্যমে নারীরা তাঁদের জীবনকে আরও অর্থবহ করে তুলতে পারেন।

বাংলাদেশে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বাংলাদেশে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক নামী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ইউনাইটেড হাসপাতাল, শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ এর মত জায়গাগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মধ্যে একটা বিরাট অংশ বন্ধ্যাত্ব নিয়ে উচ্চতর গবেষনা করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হলেন ডাঃ মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম ভূইয়া যিনি অনেক সফলতার সাক্ষী এবং দেশি বিদেশি পুরস্কারে একাধিকবার ভূষিত হয়েছেন।

নারী বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ: এই ৫টি সংকেত জানলে সচেতন হোন

সেক্স বৃদ্ধির খাবার তালিকা। শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ে যেসব খাবারে

সফলতার গল্প

আপনি কি ঢাকার সেরা বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইভিএফ ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টিরও বেশি সফল আইভিএফ সাফল্য রয়েছে।

গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:

সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps