ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

It is very important for a pregnant woman to take care during the last 3 months of pregnancy

গর্ভবতী নারীর জন্য গর্ভের শেষ ৩ মাসে যে সকল যত্ন নেওয়া অতিব জরুরি

একজন নারীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন এবং স্পর্শকাতর সময় হচ্ছে তার বহু আকাঙ্খিত গর্ভকালীন সময়। এই সময়টি প্রতিটি নারীর জন্যই স্পর্শকাতর। গর্ভকালীন সময় সাধারনত নয় মাস বা তার বেশি কিছুদিন হলেও গর্ভের শেষ ৩ মাসে নারীর শরীর ও মন সর্বাধিক স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে।

গর্ভবতী নারীর জন্য গর্ভের শেষ তিন মাস, অর্থাৎ তৃতীয় ত্রৈমাসিক, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টাতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কিছু যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। নিচে এই যত্নগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

১. খাবার হোক স্বাস্থ্যকরঃ

গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে একটি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর ডায়েট মেনে চলা খুবই জরুরি। এই সময় শরীরের পুষ্টির চাহিদা তুলনামুলক বৃদ্ধি পায়। তাই প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার অধিক পরিমানে গ্রহণ করা উচিত। 

কিছু পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে প্রোটিন রয়েছে এমন খাবার হলো, ডাল, মাংস, মাছ, ডিম।

এছাড়া বিশেষ করে যে সবজি ও ফলে ভিটামিন সি ও এ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে তা রাখতেই হবে খাদ্য তালিকায়। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার হিসেবে ক্যালসিয়ামের জন্য দুধ, দই, পনির এর নেই কোনই বিকল্প।

২. পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ

গর্ভাবস্থায় শরীরের পানি শোষণের পরিমান বেড়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। মনে রাখতে হবে তরল খাবারের মধ্যে সর্বাধিক প্রয়োজনীয় হলো পানি। এবং অবশ্য বিশুদ্ধ পানি।

৩. সময়মত ঘুম ও বিশ্রামঃ

গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসের এ সময়টাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম অত্যন্ত জরুরি। শরীরের ক্লান্তি কমাতে এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বিশ্রাম নিন। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। নিয়ম মাফিক নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো ও সঠিক বিশ্রাম খুবই জরুরি।

৪. মেডিকেল চেকআপ ও শারীরিক ব্যায়ামঃ

গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ও চেকআপ করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনার এবং শিশুর স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকা যায়। ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলি নিশ্চিত করুন। ডাক্তার যদি অনুমোদন দেন, তবে হালকা শারীরিক ব্যায়াম করুন। এটি শরীরকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে এবং প্রসবের সময় সহায়ক হতে পারে। হাঁটা, যোগব্যায়াম এবং সহজ stretching খুবই উপকারী।

৫. মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নঃ

এই সময় মানসিক চাপ অনেকের জন্য বেড়ে যেতে পারে। নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে মনোযোগ দিন। ধ্যান, প্রার্থনা, অথবা কোনও শখের কাজ করতে পারেন, যা আপনাকে শান্ত রাখতে সাহায্য করবে।

৬. প্রসব প্রস্তুতি ও পরিবারের সহায়তাঃ

প্রসবের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করুন। হাসপাতালে যাওয়ার জন্য দরকারি সামগ্রী যেমন ডকুমেন্ট, পোশাক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস প্রস্তুত রাখুন। হাসপাতালের নীতিমালা ও প্রসবের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন। এসময় পারিবারিক সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করুন, যাতে তারা আপনার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারে এবং সাহায্য করতে পারে।

৭. প্রসবের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা ও নবজাতকের জন্য প্রস্তুতিঃ

গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন: পেটে নিয়মিত সংকোচন, পানির মতো তরল বের হওয়া, রক্ত বা অন্যান্য অস্বাভাবিক নিঃসরণ। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। নবজাতকের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন পোশাক, খাদ্য ও অন্যান্য উপকরণ প্রস্তুত করুন। শিশুর জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করতে চেষ্টা করুন।

৮. শিক্ষামূলক বই ও উপকরণঃ

গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে বিভিন্ন বই এবং উপকরণ পড়ুন যা গর্ভাবস্থা, প্রসব এবং নবজাতক পরিচর্যা সম্পর্কে জানা যাবে। এই জ্ঞান আপনাকে প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে।

৯. টিকা গ্রহণঃ

যদি চিকিৎসক পরামর্শ দেন, তবে গর্ভাবস্থার এই পর্যায়ে প্রয়োজনীয় টিকা গ্রহণ করুন। যেমন, ফ্লু টিকা বা অন্যান্য টিকা যা আপনার ও শিশুর জন্য নিরাপদ।

১০. প্রসবের পরিকল্পনা করুন ও একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গঠন করুনঃ

প্রসবের সময় কোথায় এবং কিভাবে করতে চান তা আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন। হাসপাতাল বা জন্মকেন্দ্রের স্থান নিশ্চিত করুন এবং ডাক্তার বা মিডওয়াইফের সাথে যোগাযোগ রাখুন।

মাদকদ্রব্য, অ্যালকোহল, এবং তামাক থেকে দূরে থাকুন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

১১. সন্তানের জন্য ভালোবাসা ও মনোযোগঃ

গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে সন্তানের প্রতি আপনার ভালোবাসা ও যত্নের প্রকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার আগমনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে চেষ্টা করুন।

উপসংহারঃ

গর্ভবতী নারীর জন্য গর্ভের শেষ তিন মাসে এই যত্নগুলো গ্রহণ করা খুবই জরুরি। এটি মা ও সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক পুষ্টি, বিশ্রাম, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস, এবং মানসিক চাপ কমানোর মাধ্যমে এই সময়টি আরও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কাটানো সম্ভব।

সফলতার গল্প

আপনি কি ঢাকার সেরা বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইভিএফ ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টিরও বেশি সফল আইভিএফ সাফল্য রয়েছে।

গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:

সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps