ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

Importance of healthy lifestyle and preparation before pregnancy

গর্ভধারণের আগে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের গুরুত্ব ও প্রস্তুতি

গর্ভধারণ এমন একটা আনন্দ যা একটি পরিবারে অনাবিল সুখের উৎস হয়ে ওঠে। গর্ভবতী হয় একজন স্ত্রী কিন্তু আনন্দ ছড়িয়ে যায় পরিবার থেকে প্রতিটি নিকট আত্মীয়দের মাঝেও। অনেক সময়েই যেখা যায় একজন নারী গর্ভবতী হয়েছেন কিন্তু তার পরিবার এবং তার সঠিক প্রস্তুতির অভাব রয়েছে। যার ফলে পরবর্তীতে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়।  তাই  এই সময়ের সঠিক প্রস্তুতি নিতে হলে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শুধু মায়ের জন্যই নয়, নবজাতকের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা গর্ভধারণের আগে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের গুরুত্ব এবং প্রস্তুতির উপায় নিয়ে আলোচনা করব।

১. পুষ্টিকে গুরুত্ব দিন সর্বাগ্রে

Sex Enhancement Food List

গর্ভধারণের আগে সঠিক পুষ্টি গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের শরীর যে পুষ্টি গ্রহণ করে তা শিশুর উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, নিম্নলিখিত পুষ্টিকর উপাদানগুলি গর্ভধারণের আগে গ্রহণ করা উচিত:

  • ফোলেট: ফোলেট ভিটামিন বি-এর একটি রূপ, যা নবজাতকের মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ডের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ। সবুজ শাকসবজি, সাইট্রাস ফল এবং শস্যদানা থেকে ফোলেট পাওয়া যায়।
  • আয়রন: গর্ভাবস্থায় রক্তের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আয়রন অপরিহার্য। লাল মাংস, পালং শাক এবং দাল থেকে আয়রন পাওয়া যায়।
  • ক্যালসিয়াম: হাড় এবং দাঁতের সুস্থতা নিশ্চিত করতে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধ, দই, এবং বাদামে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে।

এছাড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনির পরিমাণ ও ট্রান্স ফ্যাট কমিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা উচিত।

২. শারীরিক ফিটনেসও সমান গুরুত্ব বহন করে

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম মায়ের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক। এটি শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং গর্ভধারণের সময় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যগত সুবিধা প্রদান করে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন গড়ে তোলার জন্য কিছু পরামর্শ:

  • হালকা ব্যায়াম: প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা, যোগ ব্যায়াম বা সাইক্লিং করা যেতে পারে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • লচক ও শক্তি বৃদ্ধি: পাইলেটস বা যোগব্যায়াম শরীরের লচকতা এবং শক্তি বাড়াতে সহায়ক। এটি শরীরের বিভিন্ন অংশের পেশী শক্তিশালী করে এবং আঘাতের ঝুঁকি কমায়।

সঠিক ব্যায়াম মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। স্ট্রেস কমাতে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ব্যায়াম সাহায্য করে।

৩. মানসিক স্বাস্থ্য ভাল গর্ভধারণের পুর্বশর্ত

Foods to boost youthful energy

মানসিক স্বাস্থ্য গর্ভধারণের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমাতে কিছু কার্যকরী পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে:

  • ধ্যান ও mindfulness: ধ্যান এবং mindfulness প্রশিক্ষণ মানসিক চাপ কমাতে এবং একাগ্রতা বাড়াতে সহায়ক।
  • সৃষ্টিশীল কার্যক্রম: ছবি আঁকা, গান গাওয়া বা লেখালেখি করার মাধ্যমে মনোযোগ অন্যদিকে ফেরানো যায় এবং মানসিক চাপ কমে।

পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটানোও মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।

৪. চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন যে কোন প্রয়োজনে

dr md rafiqul islam bhuiyan infertility specialist dhaka

গর্ভধারণের পরিকল্পনার আগে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই সময়ে কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করা যেতে পারে:

  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা: সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রক্তের পরীক্ষা, এবং জিনগত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের প্রস্তুতি নিশ্চিত করা যায়।
  • ভ্যাকসিনেশন: কিছু ভ্যাকসিন যেমন মিসেলস, রুবেলা এবং হেপাটাইটিস বি-এর জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে। এই ভ্যাকসিনগুলি গর্ভাবস্থায় জটিলতা রোধ করে।
  • ঔষধের পরামর্শ: যদি আপনি কোনো ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন, তবে চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করে নিরাপদ বিকল্প গ্রহণ করতে হবে।

৫. জীবনযাপনের অভ্যাসে আনুন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন

গর্ভধারণের জন্য কিছু জীবনযাপনের অভ্যাস পরিবর্তন করা দরকার:

  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল: ধূমপান এবং অ্যালকোহল গ্রহণ গর্ভধারণে বাধা দিতে পারে এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে। তাই এগুলি পরিহার করা উচিত।
  • শান্তি বজায় রাখা: অতিরিক্ত চাপ এবং উদ্বেগ গর্ভধারণে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিজেকে শান্ত রাখতে মানসিক ও শারীরিক বিশ্রাম নিতে হবে।

গর্ভধারণের পরিকল্পনা করার সময় কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, যথাযথ বিশ্রাম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত। এছাড়া, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা যেমন পর্যাপ্ত পানি পান করা, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখা গর্ভধারণের প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে।

উপসংহার

গর্ভধারণের আগে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন একটি দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত। এটি শুধুমাত্র মায়ের নয়, বরং নবজাতকের সুস্থতা নিশ্চিত করে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা, এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা এই সময়ের মূল অংশ। প্রস্তুতির এই ধাপগুলো অবলম্বন করলে মায়ের এবং শিশুর জন্য একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়, যা সঠিকভাবে একটি নতুন জীবনকে স্বাগত জানানোর জন্য অপরিহার্য।

সফলতার গল্প

আপনি কি ঢাকার সেরা বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইভিএফ ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টিরও বেশি সফল আইভিএফ সাফল্য রয়েছে।

গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:

সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps