ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

না বুঝে করা আপনার এই ভুলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি করছেন না তো

না বুঝে করা আপনার এই ভুলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি করছেন না তো?

গর্ভাবস্থায় গর্ভের সন্তানের ক্ষতি নিয়ে একজন মায়ের  বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আনুষঙ্গিক বিষয় ব্যতীত শুধু আপনার নিজ  ভুলের কারণেই  গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। দ্য জার্নাল অফ ফিজিওলজি  সাময়িকী অনুসারে একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে  হরমোনের ত্রুটির জন্য গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা  বেড়ে যায়। তাছাড়া স্বভাবত  গ্লুকোকর্টিকয়েড হরমোন মাতৃগর্ভের পুষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।তাই যখন মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত  হরমোন থাকে তখন  নাড়ির মধ্যে গ্লুকোজ সরবরাহ কমে যায়। যার ফলস্বরূপ শিশুর ওজন কমতে থাকে এবং বাচ্চা জন্মদানের পর ও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

গর্ভবতী কালীন সময়ে সমাজে কিছু কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে যার কারনে মা ও শিশু উভয়েই বিপদের মুখে পড়েন। মা ও শিশুর দেহ উন্নতি সাধন বাদ দিয়ে বরং কিছু ভুল পরমার্শে জীবন কলুষিত হয়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে  এই পরিবর্তন আসে অর্থাৎ সঠিক পরমার্শ নিয়ে জীবন গড়ার পরিবর্তে  কিছু ভুলের কারনে আপনি বিপদজনক পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন।জেনে নেয়া ভালো, কি কি ভুল সাধারণত হয়ে থাকে।  

১)  বেশি বেশি খাবার খাওয়া

বেশি বেশি খাবার খাওয়া

বেশি বেশি খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে।  মা নানীরা মনে করে থাকেন বাচ্চা ও মায়ের বেশি বেশি খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়।

তাই অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে কম খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।  কলা,দুধ একটু বাড়তি খেলেই এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। 

২) শুয়ে থাকার স্বভাব 

বেশি শুয়ে থাকার স্বভাব আপনার শরীরে বিভিন্ন রোগের বাসা বাধবে।  কারন হালকা ব্যায়াম না করলে বা হাটাহাটি না করলে আপনার ওজন বেড়ে যাবে পাশাপাশি আপনার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে।

তাই এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন।

৩) কম ঘুম দিয়ে কাজ শেষ করা

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক ঘুম ও খাবার নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। আপনার বডি সাইকেল কোনভাবে কাজ না করলে আপনার শরীর ও মন উভয়ই খারাপ থাকবে।তাই বলা যায়, একজন সুস্থ স্বাভাবিক নারী গর্ভাবস্থায় ঘুমের কারনে ও বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন।শরীরে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন জটিল সমস্যা। 

৪) দুশ্চিন্তা করা

অনেকেই এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের টেনশনে থাকেন এবং পরবর্তী সময়কে মোকাবিলা করতে অপারগ হয়ে উঠেন।তাই দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করতে হবে। 

গর্ভে সন্তান আসার ক্ষেত্রে কিছু ভুল ধারণা বা সমস্যা হতে পারে। এই বিষয়ে অনেকেই অবহেলা করে থাকেন তাই সবারই জানা উচিত। 

অপরিকল্পিত গর্ভাবস্থা– গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার না করা বা সঠিকভাবে ব্যবহার না করার মাধ্যমে যখন আপনি পরবর্তী ধাপে বিভিন্ন জটিল সমস্যায় ভুগবেন তখন আপনার মনে হতে পারে সঠিক পরিকল্পনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। 

অনুরূপ পদ্ধতি– গর্ভনিরোধের জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি বেছে না নেওয়া, যেমন কনডম, পিল ইত্যাদি। এই সমস্যা থেকে আপনার গর্ভধারনের সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি। 

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন– ধূমপান, অ্যালকোহল এবং মাদকাসক্তির কারণে গর্ভাবস্থা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। যে কোন সময়ে আপনার শরীরের ওজন ও বাঁধার কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে। 

সঠিক সময় জানা না থাকা– মাসিক চক্রের অজ্ঞানতা বা অব্যবস্থাপনার কারণে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ানো।তাই সঠিক চিন্তা না করে কোন তথ্যের কারনে যে কোন সময়ে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 

হরমোনের সমস্যা– কিছু নারীর শরীরে হরমোনের অস্বাভাবিকতা থাকলে গর্ভাবস্থার পরিকল্পনায় সমস্যা হতে পারে।তাই হরমোন ঠিক রাখা জরুরি। হরমোন লেভেল চেকসহ যাবতীয় সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই হরমোন  বড় ভূমিকা পালন করে। 
গর্ভের সন্তানের ক্ষতির বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষতি এত মারাত্মক ভাবে সমস্যা করে যার জন্য কোন চিকিৎসা ও কাজে দেয় না। প্রচলিত কিছু সমস্যার মধ্যে রয়েছে জিনগত সমস্যা। কিছু সন্তানের জন্মগত সমস্যা, যেমন ক্রোমোজোমাল অস্বাভাবিকতা, গর্ভাবস্থায় সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। তাছাড়া পরিবেশগত কারণ অর্থাৎ বিষাক্ত রাসায়নিক, পারদ, বা অন্যান্য দূষিত পদার্থের সংস্পর্শ আসলে ও চরম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শারীরিক অসুস্থতার ফলে মা যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে সন্তানের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।এছাড়া  অ্যালকোহল বা মাদকদ্রব্য কোন একটার কারণে ও গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল বা মাদকদ্রব্যের ব্যবহার সন্তানের ক্ষতির কারণ হতে পারে।  পুষ্টির ঘাটতিতে  গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়া সন্তানের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।যে কোন মানসিক চাপ গর্ভাবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন স্থূলতা, অগ্ন্যাশয় সমস্যা ইত্যাদির জন্য ও গর্ভাবস্থায় জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। 

সফলতার গল্প

আপনি কি ঢাকার সেরা বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইভিএফ ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টিরও বেশি সফল আইভিএফ সাফল্য রয়েছে।

গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:

সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps