ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

সাবধান! যে ৫ কাজ করলে আপনিও হতে পারেন বন্ধ্যা নারী।

সাবধান! যে ৫ কাজ করলে আপনিও হতে পারেন বন্ধ্যা নারী।

সময়ের সাথে সাথে চিকিৎসা বিজ্ঞান নানাবিধ উন্নতি সাধন করছে। একসময় কেউ বাচ্চা জন্মদানে প্রাথমিক অবস্থায় অক্ষম হলেই ধরে নেওয়া হতো যে, সে একজন বন্ধ্যা। আর বেশির ভাগই এর জন্য স্ত্রী বা মহিলা জীবন সঙ্গিনীকে দায়ী করা হতো। বিয়ের ৬ মাস পেরোতে না পেরোতেই স্ত্রীকে বন্ধ্যা নারী বলে নানাভাবে হেয় করা হতো। তবে এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান নানা ভাবে প্রমান করেছে যে, বন্ধ্যাত্বের জন্য শুধু নারী নয় পুরুষ ও সমান দায়ী। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ তথা বহির্বিশ্বে বন্ধ্যাত্বের অনুপাতে পুরুষ ও নারী প্রায় সমান। 

বন্ধ্যাত্ব একটি জটিল সমস্যা, যা নানা কারণে হতে পারে। বন্ধ্যাত্বের বিভিন্ন কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সময় সাধারণ জীবনযাপন এবং অভ্যাসের কারণে বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদিও বন্ধ্যাত্বের কারণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে এখানে কিছু কাজ উল্লেখ করা হলো যা করলে একজন নারী বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারেনঃ

যে ৫ কাজ করলে একজন নারী হতে পারেন বন্ধ্যাঃ 

নারীর বন্ধ্যাত্বের অনেক কারন রয়েছে। আজকে আমাদের আলোচনায় ৫ টি কাজ যা অনেক নারী প্রায়ই করে থাকে এমন কিছু বিষয় থাকছে। সম্পুর্ন আর্টিকেলটি পড়ুন এবং এই সব অভ্যাস বা স্বাস্থ্যজনীত সমস্যা গুলি এড়িয়ে চলুন।

১. পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ না করাঃ

সঠিক পুষ্টি একটি সুস্থ প্রজনন ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি একজন নারী পুষ্টিকর খাদ্য না খান, তাহলে তার শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আয়রন, ফোলেট, এবং ভিটামিন বি১২ এর অভাব প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অপর্যাপ্ত পুষ্টির কারণে প্রজনন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, যা ভবিষ্যতে একজন নারীকে বন্ধ্যাত্বের দিকে পরিচালিত করতে পারে।

২. অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা অভার স্ট্রেসঃ

মানসিক চাপ প্রজনন ব্যবস্থার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত স্ট্রেস শরীরের হরমোনাল ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে, যা ঋতুস্রাবের নিয়মিততা এবং গর্ভধারণের ক্ষমতার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস বা নানাবিধ মানসিক চাপ মহিলাদের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) এবং অন্যান্য প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি অনেক ক্ষেত্রে বাড়াতে পারে। তাই মানসিক শান্তি বজায় রাখা এবং স্ট্রেস কমানোর কৌশলগুলি গ্রহণ করা নারীর বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ।

৩. অতিরিক্ত ওজনঃ

অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে প্রজনন সমস্যা অন্যতম। স্থূলতা শরীরের হরমোনাল ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এটি পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) এর মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও, স্থূলতার কারণে গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক পরিমাণে পরিবর্তন হতে পারে, যা প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।

৪. ধূমপান এবং মাদকদ্রব্য গ্রহণঃ

ধূমপান এবং মাদকদ্রব্যের ব্যবহার প্রজনন স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ধূমপান শরীরের হরমোনাল ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করতে পারে এবং এটি গর্ভধারণের ক্ষমতাকে ক্রমেই হ্রাস করতে সক্ষন এর ফলে একজন সুস্থ্য নারীর ও মা হওয়ার বা সন্তান গর্ভধারন ক্ষমতা ধীরে ধীরে আসংকাজনক হারে কমাতে পারে। মাদকদ্রব্য ব্যবহার, যেমন অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা বিভিন্ন ধরনের ড্রাগ, প্রজনন স্বাস্থ্যকে আরো ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং স্বাভাবিক গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে থাকে।

৫. অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনঃ

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন প্রজনন স্বাস্থ্যকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন, অনিয়মিত জীবনযাপন, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, এবং শারীরিক কার্যক্রমের অভাব প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং প্রজনন ক্ষমতা ভাল রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম গুরুত্বপূর্ণ। অনিয়ন্ত্রিত যৌন জীবন ও এক্ষেত্রে অনেক নেতিবাচক প্রভাব রাখে। সুস্থ্য মানুষের জীবন যাপন ও যৌন জীবন উভয়ই নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রাখা চাই। খাদ্যাভাবে পুষ্টিকর খাবার রেখে অন্যান্য নেতিবাচক বিষয় এড়িয়ে যেতে হবে। এটাও অত্যান্ত অর্থবহ।

কিভাবে এই সমস্যা এড়ানো যায়?

এই ধরনের সমস্যা এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারেঃ

সঠিক পুষ্টিঃ স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন, যা আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান প্রদান করবে।

মানসিক স্বাস্থ্যঃ স্ট্রেস কমানোর কৌশল অবলম্বন করুন, যেমন মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

অভ্যাস পরিবর্তনঃ ধূমপান এবং মাদকদ্রব্য ব্যবহার এড়ানোর চেষ্টা করুন।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনঃ নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।

বন্ধ্যাত্ব একটি সুনির্দিষ্ট এবং ব্যক্তিগত সমস্যা, তাই যদি আপনি প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তবে একজন মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রাথমিকভাবে এই ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করা এবং চিকিৎসা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হতে পারে।

তাই বন্ধ্যাত্ব নিয়ে যে কোন প্রশ্ন বা পরামর্শের জন্য চলে আসতে পারেন, বাংলাদেশের একজন অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বন্ধ্যাত্ব বিষয়ক চিকিৎসক ডাঃ রফিকুল ইসলাম ভূইয়ার কাছে। আপনাকে সর্বদা সঠিক সেবা দিতে আমাদের টিম বন্ধপরিকর।

নারী বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ: এই ৫টি সংকেত জানলে সচেতন হোন

সেক্স বৃদ্ধির খাবার তালিকা। শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ে যেসব খাবারে

সফলতার গল্প

আপনি কি ঢাকার সেরা বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইভিএফ ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টিরও বেশি সফল আইভিএফ সাফল্য রয়েছে।

গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:

সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps