ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণঃ যেভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করবেন।

প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণঃ যেভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করবেন।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হলো পরিবার পরিকল্পনা নিয়ন্ত্রণ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। যখন নতুন দম্পতি বিয়ের পর কিছুদিন বাচ্চা জন্মদানে নিরুৎসাহিত হয়ে থাকেন বা দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে নারী বা পুরুষ উভয়েই পদক্ষেপ নিতে হবে। পুরুষরা সাধারণত কনডম ব্যবহারে অগ্রসর হয়ে থাকেন এবং নারীরা জন্মনিরোধক পিল খেয়ে থাকেন। তাছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি দিয়ে বাচ্চা নেয়ার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আপনি জানেন কি? প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মাধ্যমে একজন নারী বা পুরুষ জীবনে অসহনীয় পর্যায়ে চলে যেতে পারেন। বিভিন্ন সার্জারি বা অপারেশন এর মাধ্যমে তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। এমতাবস্থায়, যদি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কোন উপায়ে নিজের যত্ন নিতে চান বা সেভাবে পরিকল্পনা করে নিজের জীবনকে অগ্রসর করতে চান তাহলে আপনার জন্য থাকছে সুবিশাল সুযোগ। তবে কোন ঔষধ ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব তা আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। 


প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ কি?

প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ বলতে সাধারণত কোন প্রযুক্তি,ঔষধবিদ্যা ছাড়া কোন প্রাকৃতিক উপায়ে বা ন্যাচরাল মেথড দিয়ে সন্তান জন্মদানের ব্যঘাত ঘটানো কে বোঝায়।তাছাড়া –

  • ক্যালেন্ডার মেথডের ব্যাপক ব্যবহার বাড়ানো।
  • স্তন্যদায়ের সময় পর্যবেক্ষণ করা।
  • শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা।
  • কার্যকরী উপায় বাছাই করা।



১. সেইফ পিরিয়ড 


বিজ্ঞানী ওগিনো মেয়েদের মাসিক চক্রের উপর ভিত্তি করে একটি ক্যালেন্ডার বানানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যেখানে মেয়েদের ডিম্বপাত সাধারণত ১২ তম থেকে ১৬ তম দিনের মধ্যে হবে। যদি নিয়মিত মাসিক হয় তাহলে এই নিয়মে পিরিয়ড চক্র হবে। এখন অবশ্য আরো দশ দিন বাড়ায়ে হিসাব গননা করা হয়। একজন সুস্থ স্বাভাবিক নারীর মাসিক ২৮ দিন পরপর হয়।এক্ষেত্রে তার প্রথম নয়দিন সহবাসের জন্য নিরাপদ। একজনের শুক্রাণু ২৪ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে পারে। তাই সময় বাড়িয়ে নেয়া উত্তম।তাছাড়া পিরিয়ড চলাকালীন সহবাস করা তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ন। কিন্তু এই সময়ে ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী সহবাস না করাই উত্তম।যেসব নারীদের ঋতুচক্র অনিয়মিত তাদের জন্য এটি কার্যকর না ও হতে পারে। তাই সেভাবে নিয়ম মেনে চললে এই পদ্ধতি কার্যকর হবে বলে আশা করা যায়। 



২. ব্যাসাল টেম্পারেচার বা সাইটাল পদ্ধতি


মেয়েদের ডিম্বপাত হলে শরীরে কিছু পরিবর্তন সাধারণত দেখা যায়। যেমন-

  • শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া।
  • স্রাবের পরিবর্তন আসা।
  • পেট ব্যাথা হওয়া। 


সাধারনত স্রাবের ধরন নাান রকমের হয়, পিচ্ছিল,ভারী বা হালকা যে কোন ধরনের হতে দেখা যায়। তাছাড়া যে পাশের ডিম্বাণু থেকে ডিম্বপাত হয় সেই পাশে ব্যাথা অনুভব হয়। তাপমাত্রা কমবেশি বাড়তে পারে আবার ঠিক হয়ে যায়। 


৩.শুক্রাণু স্থলন পদ্ধতি


সাধারণত পুরুষের এজন্য বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। সহবাসে যখন মিলিত হওয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে আনবেন এজন্য এই পদ্ধতি পুরুষরা ব্যবহার করে থাকেন। তবে এই পদ্ধতি সবার কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায়নি। এই পদ্ধতিতে রিস্ক বেশি বলে ও মনে করা হয়।


৪.স্তন্যদায়ের সময়


বাচ্চাদানের পর গর্ভবতী মায়ের অনেকদিন মাসিক হয় না তাই এই সময়ে নিরাপদ বলে দাবী করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 


প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ সফলতা 


প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কিছু কিছু সময়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে আবার কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সেইফ পিরিয়ড দিয়েই নিরাপদ উপায়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তাই আপনি যদি শুধু এটার উপর নির্ভর করে চলেন তাহলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা থেকেই যাবে। সফলতা আশা করা যায়, যাদের ঋতুচক্র নিয়মিত হয় এবং সুন্দরভাবে জীবন পার করা যায়। প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে অভেদ ফাঁক। বিভিন্ন উপায়ে মানুষ এখন এই সমস্যা থেকে বের হতে চায়। 

তাই বলা যায়, আপনার শরীরের গঠন বা পরিস্থিতি ভেদে আপনি জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। 


প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সমস্যাগুলোঃ


বিশ্বাসযোগ্যতা-অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় এটি কম কার্যকর, বিশেষ করে যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ না করা হয়।


নিয়মিততা- মাসিক চক্রের নির্ভরতা থাকায় যাঁদের চক্র অনিয়মিত, তাঁদের জন্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।


সচেতনতা ও শিক্ষা-অনেকেই পদ্ধতিটি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন না, ফলে ভুল প্রয়োগের সম্ভাবনা থাকে।


পারস্পরিক সহযোগিতা- দুইজনের মধ্যে সহযোগিতা ও বোঝাপড়া না থাকলে সমস্যা হতে পারে।


আবেগের প্রভাব-হরমোনাল পরিবর্তন ও আবেগজনিত কারণের জন্য কৌশলগুলো মেনে চলা কঠিন হতে পারে।


পরিত্রাণের উপায়ঃ


প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর সমস্যা যেমন অনিয়মিত সাইকেল, পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বা কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ, তা মোকাবিলা করতে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি, যেমন শরীরের পরিবর্তন বোঝা, প্রয়োজনীয় শিক্ষার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উপকারী হতে পারে।

গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:

সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps