ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

গর্ভাবস্থায় কনডম ব্যবহার কি নিরাপদ? জেনে নিন এর উপকারিতা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাসের দিকগুলো। নিরাপদ শারীরিক সম্পর্কের জন্য বিশেষজ্ঞের মতামত।

গর্ভাবস্থায় কনডম ব্যবহার কি নিরাপদ?

গর্ভাবস্থায় কনডম ব্যবহার কতটা নিরাপদ বা এর কার্যক্ষমতা কেমন এসব নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রথমে আমাদের কনডম সম্পর্কে একটা ধারনা রাখতে হবে। বহু বছর আগে থেকেই পৃথিবীতে কনডমের প্রচলন। তবে তখনকার কনডম আজকের মতো ছিল না। সময়ের সাথে সাথে আকৃতি ও দৃশ্যমান অন্যান্য পরিবর্তন এসেছে।

কনডম কি?

কনডম বলতে মুলত ল্যাটেক্স দিয়ে তৈরি একটি পাতলা আবরণকে বোঝায় যা পুরুষাঙ্গের মাথায় লাগানো হয়। কনডম বীর্য, তরল এবং জীবাণুকে যোনিপথে প্রবেশ করা থেকে বাধা দেয়। শুধু এটুকু সঙ্গায় কনডমকে সঙ্গায়িত করা যায়না কেননা আধুনিক বিজ্ঞানের আবির্ভাবে শুধু পুরুষ নয় মহিলাদের জন্যও কনডম আবিস্কার হয়েছে। বর্তমানে শুধু পাতলা আবরনেই সিমাবন্ধ নয় কনডম। বিভিন্ন ধররেন কিছুটা মোটা কনডমও বাজারে পাওয়া যা।

সাধারনত জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য কনডম ব্যাবহার করা হয়ে থাকলেও এর নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রন প্রথম উদ্যেশ্য হলেও কনডমের আরো অনেক উপকারিতা বিবেচনায় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা গর্ভাবস্থায় কনডম ব্যবহার কে একটি নিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

গর্ভাবস্থায় কনডম ব্যবহার কি নিরাপদ?

আমরা আগেই জেনেছি গর্ভাবস্থায় কনডম ব্যবহার নিরাপদ। ডাক্তারগন এ বিষয়ে নানাবিধ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কনডম সহজলভ্য একটি জন্মবিরতিকরন উপকরন। আজকে আমরা গর্ভাবস্থায় কনডম ব্যবহার এর নিরাপত্তা ও উপকারিতা নিয়ে কথা বলবো। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পুর্ন মনযোগ সহকারে পড়লে কনডম ব্যবহার এবং গর্ভাবস্থায় এর নিরাপত্তা নিয়ে আপনার উদ্বেগ কেটে যাবে বলে মনে করি।

১. স্বাস্থ্য ঝুকি হ্রাসঃ

Condom (কনডম)  ব্যবহার করলে ক্ল্যামিডিয়ার মতো STDs, গনোরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি/এইডস এবং অন্যান্য STDs এর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। আমরা কে না জানি একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে রোগ সংক্রমনের জন্য যৌন সম্পর্ক কতটা ভূমিকা রাখে। তবে আপনি যদি শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরাপত্তামুলক ভাবে কনডম ব্যবহার করেন তাহলে এই ঝুকি থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকবেন। গর্ভাবস্থায় কনডম ব্যবহার এই জন্যই এত নিরাপদ যে, আপনার শরীরে যদি উক্ত যৌন ঘটিত কোন রোগ থেকেও থাকে তবে তা আপনার সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর শরীরে প্রবেশ করতে বাধা পাবে যার ফলে আপনার অনাগত সন্তান ও স্ত্রী থাকবে রোগমুক্ত। এসব দিক বিবেচনা করলে স্বাস্থ্য ঝুকি হ্রাস করতে কনডমের তুলনা হয়না। গবেষনায় দেখা যায়, যে সকল দম্পতি গর্ভাবস্থায় শারীরিক সম্পর্কে কনডম ব্যবহার করে, তাদের যৌনবাহিত রোগ সংক্রমনের হার যেমন কম তেমন গর্ভের সন্তানের স্বাস্থ্য বিবেচনায়ও কনডমের ব্যবহার ইতিবাচক বলেই মত দেন ডাক্তারগন।

২। নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতাঃ

আমরা সকলেই জানি কনডম ব্যবহারে বিশেষ কোন বাধাধরা বিধিনিষেধ নেই। যার কারনে আপনার এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার তেমন বাধ্যবাধকতাও নেই। আপনার এবং আপনার সঙ্গীর পছন্দমত কনডম দিয়ে আপনারা যৌন মিলন করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় যা আপনাকে দিবে অধিকতর নিরাপত্তা।

৩। দ্রুত বীর্যপাত হ্রাসঃ 

হয়তো শুনে অবাক হবেন যে, গর্ভাবস্থায় নারীদের বিভিন্ন সময়ের চেয়ে বেশি যৌন চাহিদা অনেক সময়ই লক্ষ করা যায়। সেই সময়ে যদি স্বামী দ্রুত বীর্য ত্যাগ করে তখন স্ত্রী অনেক সময়ই সন্তুষ্টীর হাসি হাসতে পারেন না। এজন্য গর্ভাবস্থায় কনডম ব্যবহার উপকারি কেননা কনডম ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক করলে লিঙ্গে স্পর্শকাতরতা কম হয়। ফলে কিছুটা দেরিতে বীর্যপাত হয়।

৪। সকল পজিশনে সহজে ব্যবহারঃ

অনেক পজিশন থাকা সত্তেও গর্ভাবস্থায় নির্দিষ্ট কিছু পজিশন মেনে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়। এক্ষেত্রে কনডম আপনার জন্য হতে পারে বড় উপকারি পাথেও। কনডম ব্যবহারের ফলে খুব দ্রুত এবং খুব সহজে স্ত্রীর যোনীতে লিঙ্গ প্রবেশ করানো সম্ভব। এর ফলে আপনার পছন্দমতো নিরাপদ সেক্স পজিশনেও স্বাচ্ছন্দমতো মিলন করা সহজ হবে। গর্ভাবস্থায় মিলনের বিভিন্ন পজিশন নিয়ে আমাদের লিখা গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ লিখনি টি পড়তে পারেন। অনেক ভাল এবং কার্যকরি পদ্ধতি পাবেন আশা করছি।

৫। লুব্রিকেন্ট ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নাঃ 

বিভিন্ন ব্রান্ডের কনডমে নরমাল এবং বিভিন্ন ফ্লেভারের লুব্রিকেন্ট দেওয়া থাকে, যার ফলে আলাদাভাবে লুব্রিকেন্ট ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। যদি কোন কারনে যথেষ্ট ফোর প্লে সম্ভব না হয় অথবা অন্য কারনে আপনার স্ত্রীর যোনী পিচ্ছিল না ও হয় তবুও কনডম সহজেই কাজ করতে পারে। লিঙ্গের কোন ক্ষতি বা স্ত্রীর জরায়ুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। কনডম অত্যান্ত নরম এবং পাতলা পিচ্ছিল দরনের আবরনে থাকে। যার ফলে লুব্রিকেন্ট এর দরকার হয়না। আর এ কথা সবাই জানি যে, গর্ভাবস্থায় নারীর যোনিতে লুব্রিকেন্ট এর ব্যবহার মা ও আপনার অনাগত সন্তান উভয়কেই স্বাস্থ্য ঝুকিতে ফেলতে পারে। এই এক্ষেত্রেও কনডম অত্যান্ত নিরাপদ যৌন সম্পর্কের উপটৌকন হিসেবে কাজ করে।

শেষ কথাঃ

শারীরিক সম্পর্ক কালীন সময় দুনিয়াতে সবচেয়ে মধুর এবং আনন্দের সময়। আমাদের কোন ভুলে যেন গর্ভের অনাগত সন্তান এবং গর্ভবতী মায়ের কোনরুপ ক্ষতি না হয় সেই দিকটি বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখা উচিৎ। এসব দিক বিবেচনায় গর্ভাবস্থায় কনডম ব্যবহার অত্যান্ত নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর বলেই বিশেষজ্ঞগণ মতামত ব্যাক্ত করেছেন। আপনার যৌন জীবন অনাগত সন্তান ও পরিবারের জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা থাকবে। ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। ধন্যবাদ।

গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:

সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps