মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিবাহিত দম্পতির জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করতে পারে। নিয়মিত মাসিক চক্র, গর্ভধারণের উপযুক্ততা এবং হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখা মহিলাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলা যায় প্রজনন স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে ধারণা থাকা লাগবে। যখন একজন মহিলা এক বছর সহবাসের পর ও বাচ্চা জন্মদান দিতে পারে না তাকে বন্ধ্যাত্ব বলা হয়। বন্ধ্যাত্বের সময়ে মানসিক শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি এই বিষয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবা নেয়া দরকার। প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে ঋতুস্রাব ঠিক রাখার পাশাপাশি শরীরে হরমোন ও ব্যালেন্সে রাখতে হবে।
বন্ধ্যাত্বের লক্ষণঃ
পুরুষের বন্ধ্যাত্বে সাধারণত শুক্রাণুর সংখ্যা কম হওয়ার সাথে টেস্টোস্টেরন হরমোন এর প্রভাব রয়েছে।এছাড়া শুক্রাণুর নালী আটকে যাওয়া তার পাশাপাশি বীর্যে দশ মিলিয়ন বা পাঁচ মিলিয়ন শুক্রাণু উপস্থিত থাকা বা একদমই শুক্রাণু অনুপস্থিত থাকাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়।
এসব কারনে পুরুষদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্স ড্রাইভ কম হওয়া ও একটি বড় সমস্যা। অনেক পুরুষের মাঝেই এই সমস্যা হতে পারে। এবার আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্য অর্থাৎ বন্ধ্যাত্বে প্রজনন স্বাস্থ্যের ভূমিকা।
হরমোনের ভারসাম্য
হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বন্ধ্যাত্বকে দায়ী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বন্ধ্যাত্বে আপনার হরমোন লেভেল অসামঞ্জস্য থাকে বিধায় আপনি প্রজনন স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে পারবেন না। প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষা করা ক্ষতিকর কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
গর্ভধারণে সক্ষম না হওয়া
বন্ধ্যাত্বে বিবাহিত দম্পতিরা সহবাসের পর ও গর্ভধারণের সুযোগ পায় না। এক্ষেত্রে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও ঠিক থাকে না এবং সন্তান জন্মদানের তীব্র ইচ্ছা থেকে তারা বঞ্চিত হোন।
প্রদাহজনক সমস্যা
সিস্ট বা এন্ডোমেট্রিওসিসের কারনে অতিরিক্ত টিস্যু বেড়ে যাওয়ায় অনেক সময়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। এই ব্যথা থেকে পরবর্তীতে আপনার শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রজনন ক্ষমতা ও ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে।
জরায়ুতে সমস্যা
মহিলাদের শরীরে সমস্যা দেখা দেখার পাশাপাশি তাদের জরায়ুমুখে বিভিন্ন জায়গায় নালী আটকে যায়।এজন্য এই সময়ে মহিলাদের জরায়ুর প্রাচীর ফেটে যাওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
ফ্যালোপিয়ান টিউবের ক্ষতি
মহিলাদের ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যা থেকে এক সময়ে পরে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হয়। এই সময়ে বিভিন্ন অবেহেলার জন্য মহিলারা বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন।
জীবনযাত্রার মান
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও বাঁধা সৃষ্টি করে এরকম কিছু পদ্ধতির জন্য প্রজনন স্বাস্থ্য ঝুকিপূর্ণ। তাছাড়া বন্ধ্যাত্ব থাকা অবস্থায় একজন নারী বা পুরুষের জীবনের প্রতি মায়া বা তীব্র ইচ্ছা হারিয়ে যায়।
ডিপ্রেশন বাড়ায়
ডিপ্রেশন বাড়ানোর পাশাপাশি আরো অনেক উপায়ে প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যায়। প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই অতিরিক্ত চিন্তা অর্থাৎ দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে।
মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্যে বন্ধ্যাত্বে- বন্ধ্যাত্বে থাকা অবস্থায় একজন মহিলা সন্তান গর্ভধারণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে বা বন্ধ্যা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে সমাজে। সেই সময়ে তার প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং এই প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক করতে বিভিন্ন জটিল সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
১. বংশপরম্পরার যে রীতি বা বৈশিষ্ট্য তা ব্যহত হয়।
২. বিবাহিত দম্পতির মনে সুখ থাকে না।সমাজ ও পরিবারে অবহেলিত ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে যার জন্য সবসময় হীনম্মন্যতার স্বীকার হতে হয়।
৩. একাকীত্ব বোধ আসে এবং এসব থেকে দুশ্চিন্তা বেড়ে মনোবল হারিয়ে ফেলে।সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানোর দরকার হতে পারে।
৪. প্রজনন ক্ষমতা হারানোর ফলে সংসার সহ আপনার প্রিয়জনের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫. প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সার্জারি বা ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা দিয়ে প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখা ও আশানুরূপ হতে পারে।
পরিশেষে বলা যায়, প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখা জরুরি কারন এর ফলে আপনার বন্ধ্যাত্বে সব চিকিৎসার উপর নির্ভর করে। বন্ধ্যাত্ব অভিশাপ রূপে ধারণ করে আসছে যুগ যুগ ধরে। এই বন্ধ্যাত্ব অতিক্রম না করলে প্রজনন স্বাস্থ্য ও ঠিক রাখা যায় না। প্রজনন ক্ষমতা ধরে রাখা যায় না তা মহিলাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক। প্রজনন স্বাস্থ্যকে ব্যালেন্স রাখার জন্য বন্ধ্যাত্ব নিয়ে বিশদ জানা জরুরি। এছাড়া আরো কিছু দিকে নজর রাখা লাগবে।
বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে হাজির হোন এবং তার জন্য প্রত্যেক মূহুর্তে আতংকিত হয়ে থাকেন। নারী ও পুরুষ উভয়েই প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারেন একটু সতর্ক হলেই। হরমোন লেভেল চেক সহ ভালো গাইনেকোলজি পরমার্শ নিয়ে জীবন গড়ার পরিবর্তন আসা দরকার। সবার এই মনোভাব পোষণে বর্তমানে নারী বন্ধ্যাত্বের সংখ্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।
বাংলাদেশে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
বাংলাদেশে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক নামী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ইউনাইটেড হাসপাতাল, শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ এর মত জায়গাগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মধ্যে একটা বিরাট অংশ বন্ধ্যাত্ব নিয়ে উচ্চতর গবেষনা করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হলেন ডাঃ মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম ভূইয়া যিনি অনেক সফলতার সাক্ষী এবং দেশি বিদেশি পুরস্কারে একাধিকবার ভূষিত হয়েছেন।
নারী বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ: এই ৫টি সংকেত জানলে সচেতন হোন
সেক্স বৃদ্ধির খাবার তালিকা। শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ে যেসব খাবারে
সফলতার গল্প
আপনি কি ঢাকার সেরা বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইভিএফ ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টিরও বেশি সফল আইভিএফ সাফল্য রয়েছে।
গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:
- YouTube: Infertility Solution by Dr. Rafiqul
- Facebook: Infertility Solution BD
সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps