মহিলা বন্ধ্যাত্বের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। প্রধান কারণগুলো হলো:
১. ডিম্বাশয়ের সমস্যা: ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু মুক্ত না হওয়া বা অনিয়মিত ডিম্বপাত।
২. ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যা: টিউব বন্ধ থাকা বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, যা ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর সংযোগে বাধা সৃষ্টি করে।
৩. এন্ডোমেট্রিওসিস: জরায়ুর বাইরে টিস্যু বেড়ে যাওয়ার ফলে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।
৪. জরায়ুর সমস্যা: জরায়ুতে টিউমার, পলিপ বা ফাইব্রয়েডের উপস্থিতি, যা গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করে।
৫. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: শরীরে হরমোনের অসামঞ্জস্য থাকলে ডিম্বাণুর উৎপাদন ও মুক্তিতে সমস্যা হতে পারে।
৬. পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS): এটি একটি সাধারণ সমস্যা যেখানে ডিম্বাশয়ে সিস্ট তৈরি হয় এবং ডিম্বপাতে বাধা দেয়।
৭. অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজন: শরীরের অতিরিক্ত বা কম ওজন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে।
৮. বয়স: মহিলাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণুর গুণগত মান ও সংখ্যা কমতে থাকে।
৯. জীবনধারা ও মানসিক চাপ: ধূমপান, মদ্যপান, অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা বা অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।
এই কারণগুলোর মধ্যে কোনটি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে তা নির্ধারণ করতে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।