ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

নতুন মায়ের জন্য গ্রীষ্মকালে শিশুর যত্নঃ

নতুন মায়ের জন্য গ্রীষ্মকালে শিশুর যত্নঃ ৬ টি সহজ টিপস ও পরিপুর্ন  গাইড।

একটা সন্তানের যখন পৃথিবীতে আগমন হয় তখন সাথে সাথে একজন মায়ের ও আগমন ঘটে। নতুন মায়ের জন্য গ্রীষ্মকালে শিশুর যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরমের সময় শিশুর ত্বক এবং স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হয়। একটা কথা মনে রাখতে হবে, শিশুর জন্য একজন যত্নশীল মা কয়েকজন ডাক্তারের চেয়েও অধিক গুরুত্বপুর্ন। আজকে আমাদের আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয় হলো কিভাবে একজন নতুন মা তার শিশুর জন্য গ্রীষ্মকালে সঠিক যত্ন নিতে পারেন। এখানে কিছু কার্যকর টিপস দেওয়া হলোঃ

১. সঠিক পোশাক পরিধানঃ

শিশুকে সুতির বা শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য হালকা কাপড় পরানো অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। এতে তারা আরাম অনুভব করবে এবং ঘাম শুষে নেবে। মনে রাখতে হবে আপনার ছোট্ট শিশু কথা বলতে পারেনা। তাই তার আরাম বা কষ্ট সে প্রকাশ করতে পারবেনা। তাই গরমে শিশুকে বেশি মোটা কাপড় পরানো থেকে বিরত থাকুন। পাতলা ধরনের কাপড় পরিধান করান যার মাধ্যমে সে অতিব গরমেও আরাম বোধ করবে।

২. শীতল পরিবেশ বজায় রাখাঃ

আপনার সন্তানের বসবাসের ঘরটি শীতল রাখতে এয়ার কন্ডিশনার বা ফ্যান ব্যবহার করুন। কিন্তু সরাসরি ঠান্ডা বাতাস শিশুর উপর না পড়তে দিন। শিশুকে বাইরের গরম থেকে রক্ষা করতে ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখুন। শিশু বাচ্চারা অধিক গরম সহ্য করতে পারেনা তাই শীতল পরিবেশের দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিন।

৩. পানিশূন্যতার দিকে দিন সঠিক নজরঃ

শিশু যদি মাত্র কয়েক মাসের হয়, তাহলে নিয়মিত মায়ের দুধ খাওয়ানোর কোন বিকল্প নেই। গরমে শিশুর দেহে জলশক্তি কমে যেতে পারে, তাই মায়ের দুধ খাওয়ানো অত্যান্ত জরুরি ও গুরুত্বপুর্ন। যদি শিশুর বয়স ৬ মাসের বেশি হয়,  তাহলে শিশুর মায়ের দুধের সাথে সাথে উপযুক্ত পরিমাণে পানি বা সল্টেড জল দিন। কোন অবস্থাতেই যেন আপনার প্রানের প্রিয় শিশু সন্তানটি ডিহাইড্রেশনে না ভূগে এদিকে সজাগ দৃষ্টি দিন।

৪. সঠিক খাদ্য শিশুর জন্যঃ

শিশুকে মৌসুমি ফল ও শীতল সবজি খাওয়ান, যেমন তরমুজ, শশা, কাঁঠাল ইত্যাদি। শিশুর বয়স বাড়ার সাথে সাথে ফলমূল ও সবুজ সবজি খাওয়ানোর পরিমানও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা উপকারি ভূমিকা পালন করে।  দই শিশুর জন্য খুবই উপকারী, এটি হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে শীতল রাখে। তাই সম্ভব হলে প্রতিদিন অল্প পরিমান হলেও দই রাখুন খাদ্য তালিকায়।

৫. শিশুর নিয়মিত গোসলঃ

শিশুকে দিনে একাধিকবার শীতল পানি দ্বারা গোসল করান। এটি তাদের আরাম দেবে এবং ত্বককে শীতল রাখবে। এক্ষেত্রে অনেকেই হালকা গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করে থাকেন। তবে খেয়াল করবেন যেন, পানি শিশুর জন্য অধিক গরম না হয়ে যায়। হয়তো আপনার জন্য তা হালকা গরম কিন্তু শিশুর জন্য অধিক গরম হতে পারে কেননা তার ত্বক আপনার ত্বকের ধরন থেকে অবশ্যই আলাদা হবে।

৬. ত্বকের যথাযথ যত্নঃ

শিশুর ত্বক সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করতে শিশুর জন্য বিশেষ সানস্ক্রীন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই এই সানস্কিন শুধুমাত্র ১ বছরের বেশি বয়স হলে ব্যবহার করবেন। শিশু সন্তানের গোসলের পর শীতল তেল বা লোশন ব্যবহার করুন যাতে শিশুর ত্বক মসৃণ ও সুরক্ষিত থাকে।

৭. মনোযোগী থাকুন শিশুর আচরণের প্রতিঃ

শিশুর শরীরের তাপমাত্রা, আচরণ ও স্বাস্থ্যের প্রতি নজর বিশেষ রাখুন। যদি শিশুর গায়ের তাপমাত্রা বাড়ে বা অস্বাভাবিক আচরণ করে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন আপনার সন্তানকে ঘীরেই এখন আপনার সকল কর্ম পরিকল্পনা সাজাবেন।

৮. কার্যকরী বিরতি ও পর্যাপ্ত বিশ্রামঃ

শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ করে দিন এবং তাকে খেলাধুলার জন্য সময় দিন। এটি তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। সঠিক ঘুম আপনার সন্তানের সুস্থাস্থের জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে বিবেচিত। তাই শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামের কোন বিকল্প নেই।

৯. সঠিক স্বাস্থ্য পরামর্শ ও চিকিৎসাঃ

আপনার শিশুর প্রতি খেয়াল রাখুন। কোন অবস্থাতেই যদি কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত পেডিয়াট্রিশিয়ান বা শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। মনে রাখবেন আপনার শিশু আপনার জন্য আগামীর ভবিষ্যতের পথের পাথেয়।

শেষ কথাঃ 

এই টিপসগুলি অনুসরণ করলে গ্রীষ্মকালে শিশুর যত্ন নিতে অনেক সুবিধা হবে। সবসময় সতর্ক থাকুন এবং শিশুর প্রতি যত্নশীল থাকুন! আপনি একজন মা হিসেবে যদি আপনার শিশু সন্তানের প্রতি যথাযথ ভাবে যত্নশীল থাকেন তবে আপনার শিশুর অসুস্থতার আশংকা অনেকাংশেই কমে যাবে এবং আপনার সন্তান সঠিক ভাবে বেড়ে উঠবে। ভাল থাকুক প্রতিটি শিশু সন্তান, মায়ের কোলে যত্নে থাকুক আপনার প্রিয় বাচ্চা।

নারী বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ: এই ৫টি সংকেত জানলে সচেতন হোন

বন্ধ্যাত্ব মূলত কি? বন্ধ্যাত্ব কেন হয়? কারা অধিক বন্ধ্যাত্ব ঝুঁকিতে রয়েছে?

সফলতার গল্প

আপনি কি ঢাকার সেরা বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইভিএফ ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টিরও বেশি সফল আইভিএফ সাফল্য রয়েছে।

গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:

সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps