ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

Not making these mistakes in sex? Sex is just as wrong.

যৌন মিলনে এই ভুলগুলি করছেন না তো? যৌন মিলনের যত ভুল।

সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের জন্য সহবাস হওয়া অত্যন্ত জরুরি। অনেকে মনে করেন, যৌন মিলন শুধুমাত্র একজন পুরুষের কৃতকর্ম বা তার হাতেই সব চাবিকাঠি বিদ্যমান। কিন্তু সুস্থ যৌনতার পূর্বশর্ত হচ্ছে আপনার সাথে আপনার জীবনসঙ্গিনীর আন্ডারস্ট্যান্ডিং বা সমঝোতা কতটুকু এবং  তার প্রতি  সহমর্মিতা স্বরুপ আচরণ করার চেষ্টা ।  অপরদিকে একজন পুরুষকে অবশ্যই  তার পার্টনারের  খারাপ বা ভালো লাগার বিষয়ের দিকে বিশেষ  নজর দিতে হবে। শারীরিক ও মানসিক শান্তির জন্য শরীর    যত্ন নিতে হবে। আমরা বেশির ভাগ সময়ই যৌন মিলনের প্রশান্তির বিষয়গুলি আলোচনা করি কিন্তু আজ আলোচনা করবো যৌন মিলনের যত ভুল আমরা প্রায়শই করে থাকি তা নিয়ে।

সচরাচর যৌন মিলনে যত ভুল হতে পারে তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা যাক।

যৌন মিলনের যত ভুল ধারণাঃ

১. সন্তান ধারণের জন্য প্রতিদিন সহবাস করা

সন্তান ধারণের জন্য অনেকেই মনে করেন প্রতিদিন সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। তবে এই চিন্তা করা ভুল। বিজ্ঞানের ভাষায়, একজন নারী ও পুরুষ প্রতিদিন সহবাস করলে সহবাসের ফলাফলের সম্ভাবনা ৩৭ শতাংশ। একদিন পরপর সহবাস করলে তার ফলাফল দাড়ায় ৩৩ শতাংশ এবং সপ্তাহে একবার করলে তার ফলাফল হয় ১৫ শতাংশ। তাই সঠিক সময় দেখে একদিন বা তার কাছাকাছি সহবাস করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। 

২. নির্দিষ্ট পজিশনে সহবাস করা উত্তম

অনেকে মনে করেন মিশনারী পজিশনে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এই প্রচলিত ধারণা থেকে বের হতে হবে। দৌড়ঝাঁপ বা দাঁড়ানো অবস্থায় করলে সম্ভাবনা কম এসব চিন্তা ও বিজ্ঞানসম্মত নয়। বিজ্ঞানের ভাষায় কোন অবস্থান আপনার ফলাফলকে ত্বরান্বিত করবে না।

৩. যোনিপথে বীর্য বের হয়ে আসলে গর্ভবতী হওয়া যায় না 

শুক্রাণু অনেকসময় বের হয়ে আসে যোনিপথ থেকে যাকে ফ্লোব্যাক বলা হয়। এটি সাধারণত ৯৪ শতাংশ সহবাসেই হয়ে থাকে কমবেশি। তবে অনেকে এই অবস্থায় শুয়ে থাকতে বলেন বা দুই পা উঁচু করে রাখার পরমার্শ দেন।তবে বীর্য বের হয়ে আসা খুব সাধারণ একটি পদ্ধতি। তাই এই নিয়ে চিন্তা করা উচিত না। 

৪. প্রথমবার সহবাসে গর্ভধারন না হওয়া 

 প্রথমবার সহবাসে গর্ভধারণ হওয়া নিয়ে অনেকে অনেক মত প্রচলন দেখা যায়। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। প্রথমবার সহবাস করলে বা মাসিক শুরু হওয়ার আগে একজন নারী গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত হয়ে যায়। 

৫. যোনিপথ দিয়ে প্রবেশ না করলে গর্ভধারণে সমস্যা 

যোনিপথ ছাড়াও যদি এর কাছাকাছি কোথাও বীর্যপাত হয় তাহলে ও গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। এটি সাধারণত কোন ঔষধবিদ্যা বা ভুল ধারণা না। 

৬. সহবাসের পর ১ ঘন্টা যৌনাঙ্গ না ধুয়ে থাকা

সহবাসের পর অনেকেই মনে করেন শুধু ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে পরে যৌনাঙ্গ ধুয়ে নিলে গর্ভধারণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। কিন্তু বিজ্ঞানের ভাষায় সহবাসের পর যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেললেও কোন সমস্যা হয় না।

৭. একই কনডম বারবার ব্যবহার করা

কনডম ধুয়ে আবার পুনরায় ব্যবহার করলে এটি আপনার জন্য মারাত্মক ভুলের মধ্যে একটি হবে কারন অনেক সময় ঘর্ষণের কারনে কনডম দুর্বল হয়ে যায় তাই ৩০ মিনিট পরপর একই কনডম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

৮. মাসিক শুরু হলেই সন্তান জন্মদানের সময় হওয়া 

মেয়েদের মাসিক শুরু হলেই সন্তান জন্মদানের সময় হয়ে যায় এটা একটি  ভুল মতবাদ। গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময় হয়ে যায় বরং সেই সময়ে কি করনীয় বা তার পরিপক্ব বিষয়টি আসতে সময়ের প্রয়োজন।

৯. প্রতিদিন বীর্যপাত হলে প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়

বীর্যপাত হওয়ার সাথে প্রজনন ক্ষমতার কোন সম্পর্ক নেই। বিজ্ঞানের ভাষায় আরো বলা আছে একজন পুরুষের বীর্যপাত যত বেশি হবে তার জীনগত মান তত অক্ষুন্ন থাকবে।

১০. বীর্য  শরীরে কোন অংশে লাগলে রোগ হতে পারে 

বীর্য সাধারণত যোনিপথ ছাড়া অন্য কোন পথে যদি লেগে থাকে তাহলে যৌনবাহিত রোগ হওয়ার আশংকা রয়েছে। এই সমস্যা থেকে বিভিন্ন ধরনের যৌনবাহিত রোগের উৎপত্তি শুরু হয়। 

পরিশেষে বলা যায়, সুস্থ যৌনতার জন্য একজন পুরুষ ও নারী উভয়েই যৌনতা শিক্ষা থাকা প্রয়োজন। কারন আমাদের সমাজে অনেক ভুল কুসংস্কার ও ভীতি থাকে যার কারনে মানুষ গর্ভধারণ নিয়ে ঝুঁকিতে পড়েন এবং সর্বোপরি যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন থেরাপি ও চিকিৎসা নিয়ে উদগ্রীব হয়ে পড়েন। অন্যথায় সঠিক জ্ঞান ও তথ্য দিয়ে আপনি আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক ও জীবনকে ভালো রাখতে পারবেন। 

সফলতার গল্প

আপনি কি ঢাকার সেরা বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইভিএফ ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টিরও বেশি সফল আইভিএফ সাফল্য রয়েছে।

গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:

সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps