DR. MD RAFIQUL
ISLAM BHUIYAN

পুরুষের লিঙ্গ উত্থানঃ লিঙ্গ উত্থানের কারন ও চিকিৎসা

পুরুষের লিঙ্গ উত্থানঃ লিঙ্গ উত্থানের কারন ও চিকিৎসা

পুরুষের ইরেকটাইল ডিজফাংশন বা লিঙ্গ উত্থান বলতে  পুরুষের যৌন অক্ষমতা অর্থাৎ তীব্র ইচ্ছা থাকা পর ও লিঙ্গ নিস্তেজ হওয়া বা লিঙ্গ শক্ত না হওয়াকে বোঝায়। বর্তমান সময়ে প্রায় ১৫ শতাংশ নতুন দম্পতি সন্তান লাভের আশা থেকে বঞ্চিত হয়। যুগের ধারাবাহিকতায়, নারী বন্ধ্যাত্ব খুবই প্রচলিত। ঠিক সেভাবেই পুরুষের অক্ষমতা ও শুক্রাণুর কমে যাওয়া প্রভাবিত করে চলেছে দম্পতির সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে। শুধুমাত্র আজ নারীদের দোষারোপ করে এসেছে সমাজ ফলস্বরূপ নারীসমাজ আজ দেশে কলংকিত রূপ ধারণ করেছে। বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা ও টেকনোলজির উদ্ভাবনে জানা গেছে, পুরুষরা ও তাদের লিঙ্গ উত্থানের জন্য যৌন চাহিদা ও বাচ্চা লাভের আশা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে, কেন পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব হয়? কিভাবে লিঙ্গ উত্থান থেকে বাঁচা যায়? এই অনুচ্ছেদটি বিশদভাবে পড়লে জানতে পারবেন ইরেকটাইল ডিজফাংশন বা  লিঙ্গ উত্থান যৌবনকে প্রভাবিত করে চলছে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে একজন পুরুষ কিভাবে তার যৌবনকে ধরে রাখতে পারেন।এবার কিছু বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত ধারণা নেয়া যাক।

পুরুষের বন্ধ্যাত্ব কি?


পুরুষের বন্ধ্যাত্ব বলতে বোঝায় একজন পুরুষের হরমোনের অসমতা ও যৌবন উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে ব্যাহত হওয়া। নারী বন্ধ্যাত্বের মতো পুরুষের ও বন্ধ্যাত্বের দিক রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানি না। সঠিক চিকিৎসা দিছে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব মোকাবিলা করা সম্ভব। 

লিঙ্গ উত্থান হলো পুরুষের যৌন উদ্দীপনা কম বা দীর্ঘ সময় না থাকা এবং যৌনমিলনের চেষ্টাকে ধূলিসাৎ করা।সবাই সুখী দাম্পত্য জীবনের আশায় বিয়ে করেন এবং তথাকথিত যৌন উদ্দীপনার জন্যই লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে সহায়তা করে আধুনিক চিকিৎসা ও ঘরোয়া উপায় যার ফলে আপনি দুশ্চিন্তা দূর করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন। 


ইরেকটাইল ডিজফাংশন কেন হয়?


১.যৌন উদ্দীপনা

যৌন উদ্দীপনাকে মূলত ইরেকটাইল ডিজফাংশন এর প্রধান সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।কারন যৌনমিলনে যদি যৌন উদ্দীপনা না থাকে তাহলে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি থেকে শুরু করে দম্পতির সুখ অর্জনে ব্যঘাত ঘটতে পারে। এই যৌন উদ্দীপনা ঠিক রাখতে আপনার প্রয়োজন কারন খুঁজে বের করা।সেই কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা আপনাকে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলতে পারবেন।


.মানসিক চাপ

সাধারণত ইরেকটাইল ডিজফাংশন শারীরিক ও মানসিক উভয় কারনেই হতে পারে। শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে কখনো এরকম পরিস্থিতিতে সম্মুখীন হতে পারেন আবার কাজের চাপ,মানসিক দুর্বলতা ও আপনাকে 

যৌন অক্ষমতায় ত্বরান্বিত করতে পারে। 


৩.লাইফস্টাইল পরিবর্তন –

অনেক সময় আপনার চলাফেরা থেকে শুরু করে খাবারের ধরন খুবই প্রভাব ফেলবে চপনার যৌনতা সম্পর্ক। এই বিষয়টা অনেকেই উপলব্ধি করতে পারেন না এবং নিজের চলাফেরার জন্য ইরেকটাইল ডিজফাংশনের মতো সমস্যা এসে মাথায় ভর করে!

ইরেকটাইল ডিজফাংশনের সমস্যা – কিছু সময়ে দেখা যায় পুরুষের কোন যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় না, তাকে অলিগোস্পার্মিয়া বলা হয়। এছাড়া যখন উত্তেজনা থাকার পরেও অর্গাজম হয় না তখন সেই পরিস্থিতিকে বলা হয় অ্যানোরগ্যাজমিয়া। গবেষণায় জানা গেছে একজন পুরুষের যৌন চাহিদা ও কন্ডিশন বিবেচনা করলে দেখা যায়-খুব দ্রুত বীর্যপাত হওয়া বা বিলম্বে বীর্যপাত হয়। তাছাড়া মানসিক ইচ্ছা ও ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।

সঠিক চিকিৎসা ও প্রতিকারঃ

স্টেম সেল থেরাপি 

স্টেম সেল থেরাপি হলো সবচেয়ে ভালো ও নিরাপদ থেরাপি যার কারনে কোন পাশ্ববর্তী সাইড এফেক্ট ছাড়াই আপনি ইরেকটাইল ডিসফাংশন থেকে মুক্তি পাবেন। সাধারণত ৪০ থেকে ৭০ বছর পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা বেশি দেখা যায়।তাই এক গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় – ২১ জন পুরুষ নিয়ে তাদের চর্বি বা সেল থেকে লাইপোসাকশন করে স্টেম সেক ইনজেকশন দেয়ায় তারা পরবর্তী সময়ে খুব সহজেই যৌনমিলনে সক্ষমতা অর্জন করেছেন । এতে বোঝা যায় তারা কোন প্রকার ভায়াগ্রা আর মেডিসিন ছাড়াই শরীরে যৌন উদ্দীপনা বজায় রাখতে চেষ্টা করেছেন। কোন রকমের সাইড এফেক্ট না থাকায় পরবর্তীতে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ এই পদ্ধতি ট্রায়াল করেন এবং সুখে জীবনযাপন করছেন।

মেডিসিন 

সাধারণত ভায়াগ্রা ট্যাবলেট হলো সবচেয়ে সহজলভ্য এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হিসাবে প্রচলিত। তাছাড়া রয়েছে সিয়ালিস, লেভিট্টা সহ টেস্টেস্টেরন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য কতিপয় ঔষধ বাজারে পাওয়া যায়।তবে এসব ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এত বেশি যার কারনে শরীরের পরিবর্তন আসতে পারে এবং দুর্বলতা কাজ করতে পারে।ভায়াগ্রা ট্যাবলেটের জন্য মাথাব্যথা,পেট খারাপ হওয়া, অ্যালার্জি সমস্যা,নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। 



সিলডেনাফিল খাওয়ার নিয়য় জানা কেন জরুরি? 

সিলডেনাফিল খাওয়ার জন্য যথাযথ নিয়ম রয়েছে এবং এটি না মেনে খাওয়ার ফলে আপনার দুশ্চিন্তা দূর করতে পারবেন না। শরীরে ও দেখা দিবে বিভিন্ন সমস্যা।

যদি ১০০ মিলিগ্রাম বা ২০০ মিলিগ্রাম ঔষধ সেবনের ফলে আপনি সঠিক যৌন কার্যকলাপ পেতে ১৫ মিনিট সময় লাগবে। ভায়াগ্রা কাজ করতে সাধারণত আধা ঘণ্টা সময় নেয় তাই সঠিক নিয়মকানুন মেনে ঔষধ সেবন করা জরুরি। আবার ২৫ বা ৫০ মিলিগ্রাম ভায়াগ্রা ট্যাবলেট গ্রহণ করলে কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে গ্রহণ করতে হবে এবং ১০০ মিলিগ্রাম গ্রহণ করলে আধা ঘণ্টা আগে গ্রহণ করতে হবে। 


অতএব, ইরেকটাইল ডিজফাংশন বা  লিঙ্গ উত্থানের জন্য আপনার ভয়াবহ সমস্যার সাথে যুদ্ধ করা লাগবে। কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনি অনায়সে সবকিছু অতিক্রম করতে পারবেন। লাইফস্টাইল পরিবর্তনে যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন। তাই সঠিক পরিকল্পনা মেনে চলা জরুরি।