ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

How to increase male sperm naturally?

কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে পুরুষের শুক্রানু বৃদ্ধি করা যায়?

সাধারণত একজন পুরুষের দেহে প্রায় দেড় কোটির সমান শুক্রাণু উপস্থিত থাকা অত্যাবশ্যক। যখন আপনার শুক্রাণু কম হবে তখন আপনি  সন্তান লাভের আশা  থেকে বঞ্চিত হবেন। গবেষণায় বলা আছে প্রায় প্রত্যেক পুরুষই শুক্রাণুর ঘাটতির জন্য  বন্ধ্যাত্বের শিকার হোন।  তাই এমতাবস্থায় পুরুষের শুক্রানু বৃদ্ধি  হওয়া অত্যন্ত  গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিয়মিত ব্যায়াম সহ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার সুস্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারেন। কিছু খাবার আপনি অনায়াসেই খাবার তালিকায় রাখতে পারেন।ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম অন্যতম।তারপর কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম সহ ভিটামিন বি ও সি।এখন প্রশ্ন আসতে পারে কলা কেন খাবেন? তাহলে জানুন, কলায় রয়েছে এমন উপাদান যা শুক্রাণুর গতিশীলতা ও সংখ্যা বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া গাজর টমেটো সহ মৌসুমি ফলমূল আপনার খাবার তালিকায় রাখুন।প্রায় ১৫ শতাংশ দম্পতি বর্তমানে এই সমস্যায় ভুগছেন বলে মনে করা হয়।সাধারণত কিছু সমস্যার জন্য এই বিষয়ে গভীর পর্যালোচনা করা জরুরি।

সঠিক পুষ্টি-  পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন, বিশেষ করে জিংক, ভিটামিন সি ও ডি সমৃদ্ধ খাবার থেকে প্রচুর৷ পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়। 

ব্যায়াম–  নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করলে রক্তসঞ্চালনা ভালো হয়।তাছাড়া ব্যায়াম করলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং শরীরে অতিরিক্ত অবসাদ বা ক্লান্তি দূর হয়।

স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ– স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করা অত্যন্ত কার্যকর একটি কাজের মধ্যে পড়ে। এই স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি সঠিক পরমার্শ ও দিকনির্দেশনা মেনে চলা জরুরি। 

পর্যাপ্ত ঘুম– নিয়মিত ও গভীর ঘুম শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।ঘুমের জন্য আপনার শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া সহ শুক্রাণুর চলন ও কমে যেতে শুরু করে। 

অ্যালকোহল ও ধূমপান এড়িয়ে চলা-স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আমরা সবাই চাই। ধূমপান মৃত্যুর জন্য দায়ী।বিশেষ করে পুরুষদের জন্য হার্ট ও ফুসফুসের মারাত্মক রোগ ধূমপান থেকেই ছড়ায়।

প্রাকৃতিক  উপায়ে চিকিৎসাঃ


১.গাছের উপকারিতাঃ অশ্বগন্ধা আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর।এটি বীর্যের ঘনত্ব এবং শুক্রাণুর গতিশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। অনেকসময় ধারণা করা হয়, অশ্বগন্ধা বন্ধ্যাত্ব সহ যৌন কর্মহীনতায় ভালো কাজ করে বলে প্রমান পাওয়া গেছে। 


২.মেথির বীজঃমেথির বীজে রয়েছে এমন উপাদান যা টেস্টেস্টেরনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে।মেথির বীজ সরাসরি উর্বতার সাথে সম্পৃক্ত বলে বিবেচনা করা হয়।


৩. মাদকদ্রব্য ত্যাগঃ মাদক পুরুষের দেহে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়।শুক্রাণু উৎপাদনে ভূমিকা পালন করে এমন কার্যকরী উপাদান  ব্যাঘাত ঘটে। 


৪.ব্যথার ঔষধ পরিহারঃ সাধারণত কিছু মেডিসিন আপনার দেহকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। শুক্রাণুর চাহিদাকে বেশ জোরালোভাবে প্রভাবিত করে। অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সহ দুশ্চিন্তা দূর করার মতো ওষুধ পরিহার করুন কারন এর জন্য আপনার প্রজননে সাইড এফেক্ট বেশি পড়বে।

৫. ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরিহারঃ সাধারণত ইলেকট্রম্যাগনেটিক আলো আপনার দেহে সরাসরি প্রবেশ করলে শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যায় এবং এর কার্যক্রম ব্যহত হয়।


অন্যান্য চিকিৎসাঃ

ভিটামিন ডি – ক্যালশিয়াম সহ ভিটামিন ডি এর সাথে  সাধারণত শুক্রাণু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার ও পাশাপাশি ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নেয়ার চেষ্টা করবেন।


কম স্পার্ম কাউন্টের লক্ষন– সাধারণত বীর্যপাত হওয়া, ধরন বা  মুখের বা শরীরের লোম কমে যাওয়া এবং যৌন ও প্রস্টেট সমস্যার ইতিহাস থেকে বোঝা যায় আপনার স্পার্ম কাউন্ট কত হবে। 


বীর্য বিশ্লেষণ করা– এটি হলো এমন এক পরীক্ষা যার মাধ্যমে শুক্রাণুর কার্যকারিতা ও গননা করা যায়। জেনেটিক পরীক্ষা, টেস্টিকুলার বায়োপসি সহ অ্যান্টি স্পার্ম দিয়ে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়।এই পরীক্ষা  দিয়ে সহজে  বীর্য বিশ্লেষণ ও অনুধাবন করা যায়। 


সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি – AAT প্রজনন প্রযুক্তি হলো গর্ভধারণে সক্ষম একটি আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। এর মধ্যে অন্যতম চিকিৎসা রয়েছে IVF যা  সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত উর্বতার চিকিৎসা। এই চিকিৎসার কারনে ডিম্বাশয়কে উদ্দীপনা করার পাশাপাশি ICSI এর মতো সমস্যায় পদক্ষেপ নেয়া যায়। 

কতিপয় মেডিসিন সমূহঃ

  • অ্যান্টিবায়োটিক্স
  • অ্যানাবলিক স্টেরয়েড
  • মেথাডোন
  • টেস্টোস্টেরন
  •  নশিল ও মনোবিকার নাশক পদার্থ 

পরিশেষে বলা যায় –খাবারে সচেতনতা বজায় রাখা জরুরি। সাধারনত লাল মাংস, ফল ও সবুজ শাকসবজি শরীরে যথাযথ পুষ্টির জোগান দেয়। পলি স্যাচুরেটেড খাবার থেকে রেহাই পেতে হলে সবুজ ফলমূল ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ।

সেক্স বৃদ্ধির খাবার তালিকা। শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ে যেসব খাবারে

সফলতার গল্প

আপনি কি ঢাকার সেরা বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইভিএফ ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টিরও বেশি সফল আইভিএফ সাফল্য রয়েছে।

গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:

সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps