পৃথিবী সৃষ্টির পূর্ব থেকে আমরা জানি জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে বিধাতা থেকে প্রনীত হয়। সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হিসেবে সব মা বাবার সন্তান নিয়ে চাওয়া পূরণ অনেক থাকে। পিতা মাতার আকাঙ্ক্ষিত চাওয়া কিছুটা পূরন হতে দেখা যায় তথাকথিত আলট্রাসোনিক শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে।তবে ইতিহাসের পাতায় কিছু ব্রিটিশ গবেষক তুলে ধরেছেন এক আশ্চর্যকর তথ্য। তারা বলেছেন- পিতা মাতা সন্তান লাভের পূর্বেই জানতে পারবেন তাদের কোন সন্তান হবে! তাদের ছেলে সন্তান হবে নাকি মেয়ে সন্তান হবে। কি অবাক হয়ে গেলেন? সত্যি, এরকম কিছু তথ্য নিয়ে গবেষণা চলেছে বেশ কিছু সময় ধরে। আপনি যদি সত্যিই বিশ্বাস করুন তাহলে শুনে রাখুন এটা নিতান্তই চালাকি। তবে এই বিষয়ে এখনো উপযুক্ত প্রমান পাওয়া যায় নেই। এক রকম জোর করে যদি আপনি আপনার কনসেপ্টকে মাথায় রেখে তারপর চিন্তা করেন তাহলে হ্যা অবশ্যই আপনার কাঙ্ক্ষিত সন্তানই আপনার কোলে আসবে। একদল গবেষকরা সেভাবেই জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে ছেলে সন্তান বা মেয়ে সন্তান হওয়ার ধারনা এবং আপনি কিভাবে ১০০% গর্ভবতী হবেন তা নিম্নে তুলে ধরবো।
কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে ছেলে সন্তান পাওয়া যায়?
এক্ষেত্রে প্রথমে আমাদের স্বাভাবিক ডিম্বপাত কিভাবে হয় আগে জানতে হবে। সাইন্সের ভাষায় বলা আছে- পিরিয়ড হবার শুরু থেকে সাতদিন পর্যন্ত গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে না। আবার অষ্টম দিন থেকে সতেরো দিন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি থাকে গর্ভধারনের।পিরিয়ড শুরু হওয়ার সাত দিন আগে ও শেষে কোন সম্ভাবনা থাকে না।
একজন নারীর শরীরে ৫ দিন ওভিউলেশন হয়।নারীর ডিম্ব কার্যকর থাকে ২৪ ঘন্টা এবং শুক্রানু কার্যকর থাকে ৫ দিনের মতো।এই সয়ের মধ্যে ডিম্বপাত হওয়ার তিন আগে থেকে শুরু করে একদিন পর্যন্ত গর্ভধারন হওয়ার স্বাবলম্বিতা থাকে একজন নারীর। তাই সময়ের সাথে নির্ভর করছে গর্ভধারনের সক্ষমতা বা অনুপযুক্ত।
মা হওয়া হলো আনন্দের অনুভূতি। সবাই এই অনুভূতি উপভোগ করতে চায়। সাধারণত নারীর ডিম্বপাতের উপরই নির্ভর করছে সন্তান হওয়া বিষয়ে। কেউ যদি সহবাস না করে থাকেন তাহলে মা হওয়া থেকে এড়িয়ে চলতে পারবেন। আবার আপনি মা হতে চাইলে সহবাসের সময় ডিমগুলি বীর্যের সাথে
কিছু সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে পারবেন আপনার ডিম্বপাত শুরু হয়েছে যেমন-
● হোয়াইট ডিসচার্জঃ এই সময়ে সাধারণত তরল নিষ্কৃত পদার্থটা একটু ঘন হতে দেখা যায়। অন্য সময়ের চেয়ে একটু পরিবর্তন আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন ।
● শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াঃ নারীদের শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে গেলে মনে করবেন আপনার ডিম্বপাত হওয়ার সময় শুরু হয়েছে।
● তলপেটে ব্যাথাঃ অনেক সময় অনেকের তলপেটে ব্যাথা অনুভব হতে শোনা যায়। এই ব্যাথার পরিসীমা কয়েক মিনিট থেকে ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে।
এবার তাহলে জানা যাক,কিভাবে ছেলে সন্তান পাওয়া যাবে?
অনেকেরই ধারনা দম্পতি নিজেই তার সন্তান নির্ধারন করতে পারবেন। ভ্রুনবিদ্যা অনুসারে, X ক্রোমোজোমবিশিষ্ট শুক্রানু যদি ডিম্ব নিষিক্ত হয়ে থাকে তাহলে সন্তান হবে মেয়ে।তাছাড়া অন্যদিকে Y ক্রোমোজোমধারী শুক্রানু দিয়ে যদি ডিম্ব নিষিক্ত হয়ে থাকে তাহলে হবে ছেলে। আমরা যেহেতু ছেলে সন্তান নিয়ে কথা বলবো, তাহলে এখানে শুক্রানুর প্রভাবই বেশি কাজ করবে। শুক্রানুর প্রভাবের উপর নির্ভর করবে সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে!
১০০% গর্ভবতী হওয়ার উপায়-
ছেলে সন্তান পাওয়ার জন্য Y শুক্রানু যাতে খুব কাছাকাছি ডিম্বের সাথে মিলে যেতে পারে সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে নারীর যেদিন ডিম্বপাত হবে সেদিনই মিলিত হওয়া জরুরি। কারন Y শুক্রানু বেশ ছোট কিন্তু দ্রুতগামী।এই শুক্তানু বেশিদিন জীবিত থাকতে পারে না। এভাবে আগালে অনেকটাই আপনি শিওর হতে পারেন আপনার পুত্র সন্তান হবে। আশা করি আপনার মনের আশা পূরন হবে ।
পরিশেষে বলা যায় – আপনার সন্তান আপনার অমূল্য সম্পদ। তাই আপনি এবং আপনার পার্টনারের সঠিক সিদ্ধান্তে এবং সচেতনতা অবলম্বন করে এই সময়ে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সন্তান একটি পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন সম্পদ। ছেলে সন্তান বা মেয়ে সন্তান যাই হোক না কেন তার সঠিক পরিচর্যা করুন।