ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

সন্তান গর্ভধারণের পূর্বে নব বিবাহিত দম্পতির জন্য ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

সন্তান গর্ভধারণের পূর্বে নব বিবাহিত দম্পতির জন্য ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

নববিবাহিত দম্পতিগন বিয়ের পর পরই যে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেন তা হলো কখন সন্তান নিবে বা কত দিন পর মা বাবা ডাক শুনতে চায়। অনেক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটা শুধু স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকে না। উভয়ের পরিবার আত্মীয় স্বজনও এখানে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে। আপনি যখন সন্তান গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেন তখন সন্তান গর্ভধারণের পূর্বে কিছু গুরুত্বপুর্ন কাজ আপনার করনীয় হয়ে ওঠে।

আজকের আর্টিকেলটি আমরা সাজিয়েছি সন্তান গর্ভধারণের পূর্বে নব বিবাহিত দম্পতির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে।

নববিবাহিত দম্পতির জন্য সন্তান ধারণের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি শুধু শারীরিক নয়, মানসিক এবং আর্থিক প্রস্তুতিও জড়িত। এখানে পাঁচটি গুরুত্বপুর্ণ টিপস দেওয়া হলঃ

১. উভয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোঃ

সন্তান ধারণের আগে স্বামী স্ত্রী উভয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। গর্ভধারণের জন্য আপনার শারীরিক অবস্থা ভালো থাকা প্রয়োজন। মহিলাদের জন্য নিয়মিত পিরিয়ডের আগে গাইনোকোলজিক্যাল পরীক্ষা, ভ্যাক্সিনেশন এবং পুষ্টি পরীক্ষা করানো উচিত বলে বিশেষজ্ঞগণ মতামত দিয়েছেন। পুরুষদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা যেমন স্পার্ম কাউন্ট, হরমোনের লেভেল এবং অন্য কোন শারীরিক সমস্যা আছে কিনা তা পরীক্ষা করা উচিত।

২. পুষ্টিকর খাবার এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনঃ

সুস্থ গর্ভধারণের জন্য শারীরিক সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থ থাকা জরুরি। মহিলাকে folic acid (ভিটামিন বি৯) নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা গর্ভস্থ শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট (যেমন: স্পাইনা বিফিডা) কমাতে সাহায্য করে। দুজনকেই স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং শারীরিক ব্যায়াম করা উচিত। ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত ক্যাফিন থেকে বিরত থাকতে হবে। মনে রাখা ভাল যে, একজন স্ত্রী যদি অপুষ্টিজনিত রোগে ভোগে তবে তার অনাগত সন্তানের মধ্যেও নানাবিধ অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট হারে বেড়ে যায়। জীবন যাত্রায় নিয়ন্ত্রিত হওয়াটাও এক্ষেত্রে অতীব জরুরি।

৩. মানসিক প্রস্তুতি নিনঃ

আপনি মা হবেন অথবা বাবা হবেন এটি শুধু একটি সম্পর্ক নয় একটা মনস্তাস্তিক বিষয় ও বটে। এজন্য সন্তান ধারণের বেলায় মানসিক প্রস্তুতি নেওয়াও জরুরি। আপনি এবং আপনার সঙ্গী যেন একে অপরের পাশে থাকতে পারেন এবং সন্তানের লালনপালনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহন করতে পারে। এই সময়টা দুজনের জন্য একটি নতুন জীবন শুরু হবে, তাই মানসিক সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৪. অর্থনৈতিক প্রস্তুতিঃ

একজন নতুন সদস্য পরিবারে যুক্ত হবে। অবশ্যই রিজিকের মালিক আল্লাহ্। এতে কোন ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে আপনাকে ও যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। সন্তান নেওয়ার আগে পারিবারিক আর্থিক পরিকল্পনা করা উচিত। সন্তানের যত্নে আর্থিক খরচ বৃদ্ধি পায়, তাই কিছু জরুরি খরচের পরিকল্পনা এবং বাজেট তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন—ডাক্তারি পরামর্শ, জন্মের সময়কার খরচ, শিশুর প্রয়োজনীয় সামগ্রী ইত্যাদি। 

৫. পূর্ব প্রস্তুতি এবং শিক্ষণঃ

সন্তানের জন্মের পূর্বে গর্ভাবস্থা, প্রসব, এবং শিশু পালন সম্পর্কে কিছু সাধারণ জ্ঞান অর্জন করা উচিত। বাবা মাকে প্রস্তুত হতে হবে শিশুর যত্ন নেওয়ার প্রাথমিক ধারণা, পুষ্টি, ভ্যাক্সিনেশন, এবং দৈনন্দিন পরিচর্যা সম্পর্কে। এর জন্য অনেক বই, কোর্স এবং সেমিনার রয়েছে যা দম্পতিকে সহায়তা করতে পারে।

একটি সন্তান যখন জন্ম নেয় তখন একজন মা বাবার ও জন্মহয়। তাই খেয়াল রাখা উচিৎ আপনার মা হিসেবে বা বাবা হিসেবে ভূমিকা পালনে আপনি কতটুকু প্রস্তুত। আপনার পুর্ব প্রস্তুতি এবং পেরেন্টিং শিক্ষা সন্তান গর্ভধারণের পুর্বে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করে।

সমাপ্তিঃ

এই পাঁচটি টিপস অনুসরণ করলে আপনি এবং আপনার সঙ্গী সন্তান ধারণের জন্য শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন। সব সময় আমাদের মধ্যে যারা নতুন বিবাহিত দম্পতি বা যারা সন্তান নিতে ইচ্ছুক তাদের এসব বিষয়ে সঠিক প্রস্তুতি এবং জ্ঞান রাখা জরুরি। অনেক সময় যদি আপনি বা আপনার সঙ্গীনি প্রস্তুত না থাকেন কিন্তু গর্ভে সন্তান এসে যায় তবে নানান সমস্যায় পড়ার দৃষ্টান্ত বিরল নয়। তাই আমাদের উচিৎ উপরের ৫ টি গাইড এবং টিপস ফলো করা এবং সন্তান গ্রহণের পুর্বে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা। সন্তান গর্ভধারনের বিষয়ে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হলে অথবা বন্ধ্যাত্ব নিয়ে কোন আশংকা হলে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ঢাকার সেরা বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক ভাবে সফল ও পুরস্কার প্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ রফিকুল ইসলাম ভূইয়ার সাথে। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। সকলের জন্য শুভকামনা থাকবে।

সফলতার গল্প

আপনি কি ঢাকার সেরা বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন? ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইভিএফ ও বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ, যার ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং ১০০টিরও বেশি সফল আইভিএফ সাফল্য রয়েছে।

গর্ভাবস্থা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের YouTube এবং Facebook পেজে ভিজিট করুন:

সঠিক তথ্য ও দিকনির্দেশনা পেতে এবং আমাদের কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ভিজিট করুন: Google Maps