ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

ঠিকানা

বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতাল লিঃ ই ব্লক, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা ( বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে ১০০ মিটার পূর্বে)

Book an appointment

০১৯৭৫০০৯৭৯৬

গর্ভবতী-অবস্থায়-শারীরিক-সম্পর্ক-কেমন-হওয়া-উচিৎ।

গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ।

গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক সব সময়ই প্রশান্তির। নারী বা পুরুষ উভয়ের জন্য শারীরিক সম্পর্ক অত্যান্ত নিবির একটি পক্রিয়া। সহবাসের মাধ্যমেই মানুষ প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তান জন্ম দেয়। সহবাসের মাধ্যমেই আসে পরিপুর্ন প্রশান্তি যা শরীর সুস্থ ও মনকে আনন্দিত, উৎফুল্ল করে তুলে। এই শারীরিক সম্পর্কের আবার বিভিন্ন সময় রয়েছে। নারীদের মাসিকের সময় সহবাস সম্পুর্ন নিষেধ। অনেকের মধ্যে প্রশ্ন মেয়েদের গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক কতটা যৌক্তিক?

আজকের আলোচনা মুলত সেই সব বিষয় নিয়েই। গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক করা যাবে কিনা অথবা করা সহবাস হলেও তা কেমন হওয়া উচিৎ।

গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক করা যাবে কি?

গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ কিনা সে ব্যাপারে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে। বিশেষ করে গর্ভবতীর প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাসে সহবাস করলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে বলে অনেকে আশংকা করে থাকেন। তবে এই ধারণাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। আংশিক সত্য। প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস গর্ভবতী নারীর জন্য অধিক স্পর্শকাতর সময়।

গর্ভবতী অবস্থায় অনেকেরই সহবাসের আগ্রহ তুলনামুলক কমে যায় যা খুবই স্বাভাবিক। এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার তেমন কোনো কারণ নেই।

আপনার গর্ভাবস্থা যদি স্বাভাবিক হয় এবং যদি নির্দিষ্ট কোন স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য ডাক্তার আপনাকে সহবাস থেকে বিরত থাকার পরামর্শ না দিয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্য গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক নিয়মে সহবাস করা সম্পূর্ণ নিরাপদ । এতে গর্ভের সন্তানের কোন ধরনের আঘাত পাওয়ার বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে অবশ্যই নিরাপদ পন্থা অবলম্বন করা জরুরি।

গর্ভবতী অবস্থায় কখন সহবাস এড়িয়ে চলা উচিত?

এই বিশেষ সময়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহবাস থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়ঃ

  • যদি প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল নিচে থাকা—ডাক্তারি ভাষায় একে ’প্লাসেন্টা প্রিভিয়া’ বলে
  • যদি প্রসবের আগে পানি ভাঙ্গে
  • যদি একই সময়ে দুই বা তার বেশি (জমজ) সন্তান ধারণ করে থাকেন
  • যদি গর্ভাবস্থায় কোন কারণে মাসিকের রাস্তা দিয়ে ভারী রক্তপাত হয়ে থাকে
  • যদি গর্ভবতীর জরায়ুমুখে (সারভিক্সে) কোন দুর্বলতা বা জটিলতা থাকে

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়মঃ

গর্ভবতী অবস্থায় সহবাসের সময় আপনাকে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

কিভাবে সহবাস করলে আপনার স্ত্রী আঘাতপ্রাপ্ত না হবে কারণ গর্ভাবস্থায় স্ত্রী আঘাতপ্রাপ্ত হলে গর্ভের সন্তান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যদিও অধিকাংশ দম্পতির জন্য গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ, তবে সবসময় বিশেষ অবস্থায় এটি সহজ নাও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক সময়ের মত সহবাস করতে কোন সমস্যা হলে অন্য সুন্দর পজিশনে সহবাস করতে পারেন। তবে সহবাসের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারটিই মুখ্য। সব সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, সহবাসের ফলে আপনি বা গর্ভের সন্তান যেন কোনোভাবে আঘাত না পায়।

গর্ভাবস্থায় সহবাসের ক্ষেত্রে নিজেকে ও অনাগত আকাঙ্খিত সন্তানকে যৌন বাহিত রোগ থেকে রক্ষা করতে কনডম হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। কেননা কনডম খুব ভাল উপকারে আসে  গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে। মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় হোক কিংবা কোন স্বাভাবিক অবস্থায় হোক স্ত্রীর পিছনের অংশ দিয়ে সহবাস করা যাবে না । এখানে পেছন বলতে পায়ুপথ বোঝানো হয়েছে যা এন্যাল সেক্স হিসেবে পরিচিত।

গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক সম্পর্কঃ

আপনার স্ত্রীর প্রেগন্যান্ট থাককালিন সাধারণ সময়ের মতো উদ্যম বা এক্সট্রিম  সহবাস করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। এই সময়ে মেয়েদের পেট আকারে বড় হয়ে থাকে ও শরীরের ওজন ও বৃদ্ধি পায়। যে কারণে আগের মত সহবাস করা সম্ভব হয় না। আগের মত সহবাস করলে মা ও সন্তান উভয়ের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার বিভিন্ন পজিশন-  ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলঃ

১) নারী উপরেঃ

সাধারনত গর্ভাবস্থায় মেয়েদের পেট বড় হয়ে যায়। এই জন্য এই সময় যদি নারীর উপর পুরুষ থাকে তাহলে নারীর পেটে চাপ পড় থাকে যার কারনে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। এইজন্য বিশেষজ্ঞগণের মতে গর্ভবতী অবস্থায় নারী উপরে থেকে সহবাস করা ভালো।

নারী উপরে থাকলে সেই সহবাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং কতটুকু গভীরতা লিঙ্গ প্রতিস্থাপন নিশ্চিত করতে পারবে। এ অবস্থায়  অধিকাংশ কার্যক্রম নারী ইচ্ছামত ও নিজের সুবিধা মত করতে পারে। এই পজিশনে সহবাস করলে নারীদের গর্ভবতী অবস্থায় ঝুঁকি কম থাকে।

২) এক পাশে কাথ হয়ে শুয়েঃ


গর্ভাবস্থায় নারীরা এক পাশে শুয়ে কাত হয়ে মিলন করতে সাছন্দ বোধ করে। এই পদ্ধতিতে সহবাসে অন্য সময় হয়তো নারীরা পুর্ন তৃপ্তি পায়না কিন্তু গর্ভবতী কালিন এক পাশে কাত হয়ে শারীরিক সম্পর্ক খুবেই সহজ। কারণ এভাবে সহবাস করলে পেটে কোন চাপ পড়ে না। এই পজিশনে সহবাস করার নিয়ম হচ্ছে, প্রথমে নারীকে হাটু ভাঁজ করে একপাশ হয়ে শুতে হবে।

এরপর স্বামী তার স্ত্রীর পেছনে থেকে সহবাস করবে। পদ্ধতিটি পকৃত অর্থে ভালোভাবে কাজ করে যদি পুরুষ নারীর উরুর মাঝ দিয়ে লিঙ্গ সঞ্চালন করে। কিন্তু এই সময় আস্তে আস্তে সহবাস করতে হবে। নারী পুরুষ উভয়েরই কষ্ট কম হয়। এভাবে সহবাস হলো গর্ভবতী মেয়েদের কোন সমস্যা হয় না।

৩) দাঁঁড়িয়ে সহবাসঃ 

গর্ভাবস্থায় আপনার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হয় যেনো পেটে বেশি চাপ না পরে। দাড়িয়ে সহবাস করার ক্ষেত্রে সোফা কিংবা চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে সহবাস করা উত্তম, এই পজিশনে সাধারনত স্ত্রী চেয়ারে ধরে কোমর হালকা একটু বাকা রাখবে, এতে স্বামী পেছন থেকে যোনি দিয়ে সহবাস করবে। তবে স্বরন রাখতে হবে যেন বেশি জোরে পেটে ধাক্কা না লাগে।

৪) সোফায় বসে বা শুয়েঃ
গর্ভবতী অবস্থায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার বিভিন্ন পদ্ধতির মাঝে সোফা কিংবা কোন নরম জায়গায় বসে সহবাস করা অত্যান্ত নিরাপদ একটি পজিশন। এই উপায়ে গর্ভবতী মায়ের পেটে চাপ পড়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। এই পদ্ধতিতে স্বামী নিচে শুয়ে বা বসে থাকবে, এবং স্ত্রী উপর থেকে স্বামীর লিংগ যোনিতে ডুকিয়ে তার উপর বসবে। স্বামী নিচ থেকে ধাক্কা দিবে অথবা স্ত্রী এই স্টাইলে উপর থেকে তার সুবিধা মতো হালকা করে উটাবসা করে থাকবে।

পরিশেষে বলা যায় যে, সহবাস তৃপ্তি এবং সুস্থতার জন্য এক অপুর্ব নেয়ামত। আপনার স্ত্রী নিষিদ্ধ সময় ব্যাতিত সর্বদাই আপনার জন্য হালাল। তাই সঠিক ভাবে সহবাস করুন। আর স্ত্রীদের জন্য বলবো, কখনোই বিশেষ ওজর বা কারন ছাড়া স্বামীকে সহবাস করতে বাধা দিবেন না। সংসারে সুখ শান্তি আনয়নে নিয়মিত সহবাস খুবই বড় এক দাওয়াই হিসেবে কাজ করে।