যৌবনকালে অনেকেই বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তি ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সাথে সম্মুখীত হতে হয়। তবে যৌবনে যৌন শক্তি না থাকলে বিবাহিত দম্পতির মধ্যে শান্তি আসবে না, দেখা দিবে কলহ সহ দুশ্চিন্তা। তাই আপনাকে যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি আপনাকে যৌন ক্ষমতা কিভাবে বাড়ানো যায়, জানা লাগবে। তাছাড়া সুস্থ স্বাভাবিক দম্পতির মধ্যে সুখ বিরাজমান করবে যখন আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে সুখ দিতে পারবেন। সাধারণত পুরুষদের যৌন ক্ষমতা কম থাকার কারনে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়।এই প্রবন্ধে খুব সংক্ষেপে আলোচনা করা হবে কিভাবে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে যৌন ক্ষমতা বাড়াতে পারবেন এবং কোন কোন খাবারগুলো আপনার জন্য কাজে দিবে। এর ফলে আপনি পাবেন দীর্ঘস্থায়ী যৌবন।
যে ৫ খাবারে দীর্ঘস্থায়ী হবে আপনার যৌবন
ডিমঃ ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি -৫ ও ভিটামিন বি-৬। ভিটামিন শরীরের হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে থাকে পাশাপাশি কোন ঘাটতি দেখা দিলে তার জন্য যথাযথ উপায়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।এতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিডসহ আরো কিছু পুষ্টি উপাদান। তাই প্রতিদিন খাবার তালিকায় ডিম রাখা অত্যন্ত জরুরী কারন ডিম শরীররে পুষ্টি সহ যৌবনকে সতেজ করতে ভূমিকা পালন করে।
1. মধুঃ
মধু হচ্ছে এমন একটি উপাদান যার মধ্যে আপনি পাবেন পাকস্থলী পরিষ্কার সহ শরীরের বড় বড় রোগ থেকে মুক্তি। খালি পেটে মধু খাওয়ার উপকারিতা অনেকেই জানেন না, খালি পেটে মধু খেলে কফ দূর হয় সাথে পাকস্থলী পরিষ্কার করতে ও মধুর কোন বিকল্প নাই।মধু আমাদের কিছু বন্ধ গ্রন্থিকে খুলতে সহায়তা করে। এছাড়া পাথরের রোগ সহ শরীরে তাপশক্তি বজায় রাখতে মধু অত্যন্ত কার্যকারী। মধুকে তাই যৌবনকে ধরে রাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলা হয়।
2. রসুনঃ
রসুন সাধারণত বিভিন্ন ফোঁড়া থেকে শুরু করে পাকস্থলী থেকে গ্যাস বের করার জন্য কাজে দেয়। রসুন খুব সহজেই মানুষ ব্যবহার করে থাকেন।তাছাড়া রসুন গর্ভবতী মহিলার ও বিভিন্ন কাজে লাগতে পারে । কিন্তু রসুন যে পুরুষদের বীর্যের ঘনত্ব বাড়ায়, তা অনেকেরই জানা নেই। অ্যাজমা ও কাঁপুনি রোগসহ প্রদাহজনিত সব সমস্যার সমাধান হিসাবে রসুন হলো অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।
3. ফলঃ
মৌসুমি ফলে রয়েছে ভিটামিন সহ বিভিন্ন উপাদান যা শরীরকে শক্ত ও মজবুত করে তোলে।প্রতিদিন অন্তত ভিটামিন সি পাওয়া যায় এমন ফল বাছাই করা অপরিহার্য। সাধারনত ফল স্পার্মের কার্যকারিতা বাড়ায়।এছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় বলা আছে-তরমুজ হলো সবচেয়ে বেশি যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী ফল। এই ফল ভায়াগ্রার সাথে তুলনা করা হয়।তাই যেসব পুরুষরা যৌবন ধরে রাখা নিয়ে চিন্তিত তারা বেশি বেশি তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
4. বীজ জাতীয় খাবারঃ
কুমড়ার বীজসহ সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমানে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা শরীরে কিছু পরিমানে কোলেস্টেরল তৈরি করে। কোলেস্টেরল শরীরে সেক্স হরমোনকে ঠিক রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া বীজ থেকে নির্গত ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের শক্তি সরবরাহ করার পাশাপাশি যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে পারে।
এছাড়া দুধকে বলা হয়ে থাকে সুষম খাদ্য যা শরীরে মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সহায়তা করে। দুধের কারনে পুরুষের বীর্যের ঘনত্ব বৃষ্টি পায়।এছাড়া দুধের কার্যকারিতা বলেও শেষ করা যাবে না। দুধকে তাই খাদ্য তালিকার আদর্শ খাবার হিসেবে রাখতে পারেন। আপনি চা পছন্দ করলে দুধ চিনি ছাড়া চা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। চিনি ছাড়া চায়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে ওজন কমানোর পাশাপাশি যৌনতাকে সজীব রাখতে সহায়তা করে। মাছ মাংস ছাড়া তো আমাদের কোন খাবারই চলে না তাই পছন্দের তালিকায় তৈলাক্ত মাছ বাছাই করবেন এতে থাকবে ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীরের শক্তি উৎপাদনের উৎস ও ভারসাম্য বজায় রাখে তাই যদি শরীরের রক্ত চলালচল বাড়াতে হয়, পালং শাক অত্যন্ত কার্যকরী একটি শাক। তাছাড়া অন্যান্য সবুজ শাকসবজি খেলে শরীরের জটিল জটিল রোগ থেকে রেহাই পেতে পারেন।
পরিশেষে বলা যায় –
স্টেরয়েড হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বাজারে অনেক মেডিসিন পেয়ে থাকবেন। অনেকদিন ধরে টেস্টিম,টেস্টোপেল সহ এনড্রোজেল ব্যবহার হয়ে আসছে হরমোনাল মেডিসিন হিসাবে।। চিকিৎসকরা আপনার যখন তীব্র সমস্যা দেখা দিবে তখন ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন ।এছাড়া আপনি আপনার খাবার ও লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে নিজেই এই সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন।
সুতরাং আপনি নিজেই নিজের সঠিক যত্ন ও খাবার নিয়ে সচেতন হলে যে কোন সময়ে মানসিক ও শারীরিক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। যৌনতা শিক্ষা জানা যেমন জরুরি তেমনি যৌবন ধরে রাখার জন্য কি কি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে তা নিয়ে বিশদ জানা জরুরি। লাইফস্টাইলের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে আপনার জীবনের অনাকাঙ্ক্ষিত সব পরিস্থিতি তথাকথিত বন্ধ্যাত্বের চরম অশান্তি। তাই সঠিক চিকিৎসা ও যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আপনি পেতে পারবেন সুখী দাম্পত্য জীবন।